Breaking News
Home / Breaking News / আশুলিয়ায় আরেক পাপিয়ার সন্ধান

আশুলিয়ায় আরেক পাপিয়ার সন্ধান

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সাভারের আশুলিয়ায় অপরাধ রাজত্ব গড়ে তুলেছেন বহিষ্কৃত এক যুব মহিলা লীগ নেত্রী। তার অপকর্মের শিকার হয়ে অনেকেই বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছেন।

মাদক ও নারী ব্যবসা, চাঁদাবাজি, দখল ছাড়াও মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলায় অনেককেই ফাঁসিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। মাদক ও দেহ ব্যবসার অভিযোগে বহিষ্কৃত হলেও মনিকা নিজেকে পরিচয় দেন কেন্দ্রীয় মহিলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য বলে। তবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে মনিকার কোনো সদস্য পদ নেই বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্ব।
কিন্তু স্থানীয় নেতা ও যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রীসহ হাই প্রোফাইল ব্যক্তির সাথে সখ্যতার কারণে প্রভাব বিস্তার করেছেন নিজ এলাকায়। বেপরোয়া মনিকা যেনো হয়ে উঠেছেন আশুলিয়ার ‘পাপিয়া’।

মা’দকদ্রব্য অধিদপ্তরের অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, আশুলিয়া থানা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী মনিকা হাসান ও তার পরিবারের পাঁচ সদস্য মাদক এবং দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত। এমনকি মনিকা তার নিজ বাড়িতেই এসব অনৈতিক কাজ পরিচালনা করেন। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘মনিকা হাসান ইয়াবা ডিলার, তার দুলাভাই আফজাল হোসেন এবং মামাতো ভাই জাহিদ ই’য়াবা ও ফেনসিডিল ব্যব’সায়ী।
এছাড়া মনিকার বড় খালা আয়শা বেগম, খালু রনি ও খালাতো বোন নার্গিস ইয়াবা ব্যবসায়ী। শুধু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরই নয়; মনিকার মামা কাজল মিয়া, মামী নাজমুন নাহার, খালু শহীদ ভুঁইয়া, বোনজামাই জসিম উদ্দিন ও খালাতো ভাই রাজু মিয়ার নামেও আশুলিয়া থানায় রয়েছে আরো চারটি মাদক মামলা।
অ’ভিযোগ রয়েছে, মনিকা হাসান মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী চিহ্নিত হওয়ার পর নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তার এলাকার ধামসোনা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মঈনুল ইসলামের নিকট মিথ্যা প্রত্যয়নপত্র চান। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাতে থাকে মনিকা। পরে বিপাকে পড়ে ওই ইউপি মেম্বার থানায় একটি লিখিত অ’ভিযোগ করেন।
এছাড়া আশুলিয়া থানা যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমুন নাহার কাজল ও সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার লাভলী অ’পপ্রচার, হয়রানি ও হুমকি প্রদানের অভিযোগ এনে মনিকার বিরুদ্ধে থানায় ডায়েরি করেন। এমনকি তিন লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, মা’রধর ও ভাঙচুরের অ’ভিযোগে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেত্রী মনিকার বি’রুদ্ধে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে একটি মা’মলা চলমান রয়েছে।
আশুলিয়া থানা যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমুন নাহার কাজল অভিযোগ করেন, মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অ’ভিযোগে মনিকাকে বহিষ্কার করা হলে সে আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাতে থাকে। একপর্যায়ে আমার স্কুল পড়ুয়া ছেলেকে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসিয়ে কারাগারে পাঠায়।

আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার আজাদ নামে এক ব্যক্তি জানান, ‘মনিকা নামে ওই যুবলীগ নেত্রী এক নারীকে দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণ মা’মলার মাধ্যমে তাকে ব্লাকমেইল করেছে।’

Powered by themekiller.com