যেতে হবে….
এম. আর হারুন
————–
দেহের ভিতরে রক্ত মাংশ আছে
আছে জোড়ায় জোড়ায় হাঁড়
হয়তো যাবার বেলায় পিছন ফিরবে
বলবে না চলে যাই
তখনতো নিঃশ্বাস থাকবেনা
বিশ্বাস থাকবে না
প্রান থাকবে না
ভালোবাসা হারিয়ে যাবে পলকে।
কতটুকু স্নেহ মমতায় নিজেকে গড়তে
কতটুকু কপল বেয়ে ঝড়েছে ঘাম
কেউ কি ভাবতে পারে
না পারে না।
অভিলাশের চাহিদা মিটানোর তাগিদে
একটার পর একটা বাহানা
একটার পর একটা সমাধান
তবে আমার বেলায় সব অন্ধ।
রঙিন চশমার ফ্রেমে বন্ধি হয় উপমা
দেখেছি পাখির পালক ছিড়ে পরতে
গন্তব্যহীন অনুভুতিতে,
এখন আর অনুভবটা জেগে ওঠেনা
কষ্টেরা আঘাত করেনা
দুঃখ এসে দাড়ায়না ঘরের দরজায়,
দুখের মাঝেইতো দিবানিশী কাটে
চব্বিশ ঘন্টার দ্বিপ্রহর
তারাও এখন আসতে লজ্জিত
হয়তে উঁকি দিয়ে চলে যায়।
আমিতো অমানুষের দলে বিলিয়েছি
মানুষ বলবো কাকে
যে আমাকে আঘাত করে
যে আমাকে সহ্য করেনা
যে আমাকে দেখে থুথু ফেলে
তারা কি সত্যিই মানুষ।
যাদের জন্য তুমি করেছো রক্তশূন্যতা
যাদের ক্ষুদার্ত মুখে তুলে দিয়েছো অন্ন
তারাও কি আপন,
যদি আপন হয়, তুমি কেনো রাস্তায়
গোয়াল ঘরে বসবাস, বস্তাবন্দি ডাস্টবিনে
অন্নের অভাবে বিদ্যাশ্রমে,
তোমার সুখ তুমিইতো বিলিয়ে দিয়েছো
একটু সুখের আশায়,
আজ মরীচিকার কল্পনাতে তুমি অন্ধকারে
আর তোমার সুখেরা অট্টালিকায়,
এটাই বাস্তব, এটাই ভবিষ্যৎ
এটাই তোমার ছিলো পাওনা।
০৭/০৩/২০২০