Breaking News
Home / Breaking News / চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ ও পুর্নবাসনে সোয়া ৪শ’কোটি টাকার প্রকল্প

চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ ও পুর্নবাসনে সোয়া ৪শ’কোটি টাকার প্রকল্প

ষ্টাফ রির্পোটারঃ
চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধ সংরক্ষণ ও পুনর্বাসন প্রকল্পের ৪’শ ২০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত ব্যায়ের বাজেট চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠাচ্ছে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড।

৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানাযায়, সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নের প্রকল্পের জন্য চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ ও পুনর্বাসন প্রকল্পের ৪শ’ ২০ কোটি টাকা ব্যায় অনুমোদন চাওয়া হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে। সেই প্রস্তাবনাটি এই সপ্তাহে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বরাবর পাঠানো হবে।

সূত্র আরো জানায়, চাঁদপুরের পুরানবাজারের হরিসভাসহ মোট ১ হাজার ৬শ’ ৩০ মিটার এবং নতুন বাজারের ১ হাজার ৭শ’ ৩০ মিটারসহ মোট ৩ হাজার ৩শ’ ৬০ মিটার এলাকা এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
চাঁদপুর দক্ষিণাঞ্চল শাখার নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যাংকার মুজিবুর রহমান জানান, চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পটির নাম সংস্কার করা হয়েছে। যার নতুন নামকরন করা হয়েছে চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ ও পুনর্বাসন প্রকল্প। নদী ভাঙ্গন রোধে এই প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যায় এ সপ্তাহেই পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। যার সম্পূর্ণ ব্যায় ধরা হয়েছে ৪শ’ ২০ কোটি টাকা (ডিপিপি)। প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের কাজ শুরু করার সময় মার্চ/২০২০ এবং শেষ জুন/২০২২ (বর্ষা মৌসুম) দেখানো হয়েছে।

তিনি আরো জানান, চাঁদপুর হতে হাইমচর পর্যস্ত মোট ৯ কি.মি. নদী তীরবর্তী এলাকা ব্লক ফেলে বাঁধাই করা রয়েছে। তার মধ্যে শহরের ৩. ৩৬ (তিন দশমিক তিন ছয়) কি. মি. এলাকা বাঁধাই থাকা সত্ত্বেও ঝুঁকিপূর্ণ। তাই প্রস্তাবিত এই প্রকল্পে ব্লকগুলো নতুন করে বসানো বা ব্লক ডাম্পিং করার ডিজাইন করা হয়েছে। আর এই ডিজাইনটি করেছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঢাকার ডিজাইন বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোতাহার হোসেন।

তিনি জানান, চাঁদপুর হাইমচরের ১৬.২৭৪ কি. মি. নদী তীরবর্তী এলাকার বাঁধ নির্মাণে খরছ হয়েছে সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকা। তাছাড়া স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সময়ে চাঁদপুরের নদী বাঁধ নির্মাণে খরছ হয়েছে ১শ’ ৭০ কোটি টাকা।

কিন্তু মেঘনা, পদ্মা ও ডাকাতিয়ার তীরবর্তী এলাকায় চাঁদপুর শহরটি। যেজন্য এখানকার ৩. ৩৬ কি.মি. এলাকা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এই প্রস্তাবিত প্রকল্পটি যদি অনুমোদন হয় এবং এটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়। তবে এই শহরবাসীর জন্য এটি খুব ভালো হবে। তাই এ ব্যপারে সুদৃষ্টি দিতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এসব তথ্য পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু রায়হান নিশ্চিত করে জানান, আমরা চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ পুনর্বাসন প্রকল্পে ৪শ’ ২০ কোটি টাকা অনুমোদন চেয়ে ১টি প্রস্তাবনা চলতি সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে পাঠাচ্ছি। এই প্রকল্পের প্রস্তাবনাটি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় পৌঁছানোর পর চূড়ান্ত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাশ হতে পারে। যদি প্রস্তাবিত অনুমোদন পাশ হয়। তাহলে আমরা নভেম্বর/২০২০ সালেই কাজ শুরু করবো। এটি বাস্তবায়িত হলে চাঁদপুরবাসীর আগামী ২০ বছর পর্যন্ত নদী ভাঙ্গনের ভয়াবহতা নিয়ে ভাবনা ভাবতে হবেনা।

এদিকে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, এই প্রস্তাবিত প্রকল্পটি পাশ না হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর পূর্বের ন্যায় বালু ভর্তি জিও ব্যাগ নদী ভাঙ্গন রোধে ফেলবে। যা নদী ভাঙ্গনের চিত্র বদলাতে পারবে না। তাই এই প্রস্তাবিত প্রকল্পটি চাঁদপুরবাসীর জন্য একধরনের আশার আলো। তাই এ ব্যপারে মেঘনা পারের কন্যা শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি সুদৃষ্টি চেয়েছেন চাঁদপুরের সচেতন মহল।

Powered by themekiller.com