টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে দাঁত ভেঙে ফেলার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম জহুরুল ইসলাম। সৈয়দপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তিনি। দাঁত ভেঙে ফেলা শিক্ষার্থীর নাম মো. বিদ্যুৎ (১৪)। সে ওই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র এবং সৈয়দপুর গ্রামের মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে।
বিদ্যুতের বাবা জামাল উদ্দিন গোপালপুর থানায় সোমবার লিখিত অভিযোগে জানান, তার ছেলে শিক্ষক জহুরুল ইসলামের কাছে গণিত বিষয় প্রাইভেট পড়ত। এক মাসের বেতন পাঁচশত টাকা বকেয়া রয়েছে। এ জন্য আগে থেকেই বিদ্যুতের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন ওই শিক্ষক। সেই ক্ষোভ থেকেই পিটিয়ে তার ছেলের দাঁত ভেঙে ফেলেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
বিদ্যুৎ জানায়, শনিবার ক্লাসে সহপাঠীদের সাথে খেলার করার একপর্যায়ে এক ছাত্রীর গায়ে তার বইয়ের স্পর্শ লাগে। পরে ওই শিক্ষক ক্লাসে এসে তাকে বেত্রাঘাত করেন। এক পর্যায়ে বেতের আঘাত মুখে লাগলে নিচের পাটির দু’টি দাঁত ভেঙে যায়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজা জানান, ওই দিন শিক্ষকের বেত্রাঘাতে বিদ্যুতের দাঁত ভেঙে যাওয়ার পর স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে পরদিন রোববার গোপালপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আহত ছাত্রের বাবা সোমবার থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে হেমনগর শশীমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার পরিদর্শকের দায়িত্ব শেষে শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বের হলে হেমনগর ফাঁড়ি পুলিশ তাকে আটক করেন। পরে তাকে গোপালপুর থানায় নেয়া হয়।
ওসি আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।