Breaking News
Home / Breaking News / আজকের বাঙালি ও পাশ্চাত্যের ভ্যালেন্টাইনস ডে।

আজকের বাঙালি ও পাশ্চাত্যের ভ্যালেন্টাইনস ডে।

ষ্টাফ রির্পোটারঃ
ভ্যালেন্টাইন ডে আসলে কি?

ভালোবাসা দিবস বা সেন্ট ভ্যালেন্টাইন’স ডে[১] একটি বার্ষিক উৎসবের দিন যা ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা এবং অনুরাগের মধ্যে উদযাপিত হয়।

ভ্যালেন্টাইন ডে এর ইতিহাস!

২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেইটাইন’স নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচার-অভিযোগে তৎকালীন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাকে বন্দী করেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খৃষ্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বন্দী অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এতে সেন্ট ভ্যালেইটাইনের জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। আর তাই তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল। অতঃপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেইটাইন’স স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন’ দিবস ঘোষণা করেন।
এবার আসুন আজকের বাঙালি এবং বাঙালি ভ্যালেন্টাইন্স ডে সম্পর্কে জানি!!
ঠিক কবে বা কারা কিভাবে ভারতীয় উপমহাদেশে ভ্যালেন্টাইন্স ডে এনেছে এর সঠিক ইতিহাস জানা নেই। তবে আর যাই হোক আমরা পাশ্চাত্যকে বরাবরই গ্রহণ করে আসছিস সমাদরে। আসলেই আমরা হুজুগে বাঙ্গালী এর যথার্থ প্রমাণ বিভিন্ন দিবসগুলোতে আমাদের লক্ষ্য করা যায় পার্কে বা বিভিন্ন পর্যটক এলাকায়। কবে কোথায় কিভাবে ভ্যালেন্টাইন্স ডে উদযাপন করেছে সেটা আমাদের দেখার বিষয় না আমাদের ইতিহাস জানার কোন প্রয়োজন বোধ করি না কিন্তু আমরা চাই প্রত্যেকটা দিবসে হয়ে উঠুক আমাদের জন্য সেক্স দিবস। সত্যি শুনতে যদিও অনেক কষ্ট হয় কিন্তু এটাই আসল বাস্তবতা। সামনে ভ্যালেন্টাইনস ডে এই নিয়ে আমাদের বাঙালি জাতির উৎসুক হয়ে পড়ে থাকাটাই বোঝায় যে আমরা আসলেই হুজুগে বাঙ্গালী। ফেসবুকে বিভিন্ন মিম পেইজ বা তথাকথিত বিনোদনমূলক পেইজ যারা বিনোদনের নামে সেক্সুয়াল ইন্টারসেকশন শিখায়। তাদের কাছে বিনোদন বলতে সেক্স বোঝায় এসব তথাকথিত পেজগুলো ভ্যালেন্টাইন্স ডে কে আরো রমরমা করে তোলে। সামনের সপ্তাহ থেকেই শুরু হবে ভ্যালেন্টাইন্স ডের সিকোয়েন্স। কিন্তু দিন শেষে দেখা যাবে 14 ই ফেব্রুয়ারি হয়ে উঠবে কত নাম জানা সুন্দরীর সতিত্ত হরণ এর কারণ। আসলে আমাদের বাঙালি মেয়েরা ও পাশ্চাত্যের কালচারের বদৌলতে নিজস্ব কৃষ্টি কালচার ভুলে যাচ্ছে। তারা তথা কথিত ভ্যালেন্টাইন ডের নামে তাদের সবথেকে দামি সতীত্ব তাই তারা কথিত বয়ফ্রেন্ডের হাতে বিলিয়ে দিচ্ছে। সত্যি বলতে এই ভ্যালেন্টাইন ডের নামে নোংরামি ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকেও যতটা না অবৈধ ততটা সামাজিকভাবেও দৃষ্টিকটু। এর ফলে যে আমাদের তরুণ সমাজের ভুলে যাচ্ছে তাদের ভবিষ্যৎ রিলেশনশিপের কথা বিয়ে নামক একটা বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তাঁরা থেকে যাচ্ছেন ডিপ্রেশনে। সামান্য কিছু তথাকথিত নোংরামি সুখের জন্য আমরা সারাটা জীবন কে ডিপ্রেশনে ফেলে দিচ্ছি। মনে হতেই পারে কেনই বা ডিপ্রেশন কিভাবে ডিপ্রেশনে ফেলেছে আসলে বস্তুগত ভাবে প্রত্যেকটা ছেলেই সে যতই খারাপ হোক না কেন দিন শেষে চাইবে তার বউটা যেন সতি হয় আর ওই ছেলেটা ভুলে যাবে যে সেও কতগুলো মেয়ের সতীত্ব হরণ এর কারণ ছিল। উভয়ের মধ্যে বনাবনি মন খারাপ সমস্যা ঝগড়া একটা সময় তার রূপান্তরিত হয় ডিভোর্সে। কখনো ভেবে দেখেছেন ডিভোর্সের কারণ গুলো কি এর অন্যতম কারণ হচ্ছে এইসব তথাকথিত নোংরামি রিলেশনশিপ। পাশ্চাত্যে কালচারে ভিভোর আমরা অনেক সময় ভুলে যাই যে আমাদের সংসার করতে হবে আমাদের ভবিষ্যতে কোনো একজন বউ হয়ে আসবে আমরা কারো সংসারে বউ হয়ে যাব তখন আমরা তাকে কি জবাব দেব। অর্থই যেমন অনর্থের মূল ঠিক তেমন একটি সংসারের মিথ্যাচার ও একটি অন্যায়ের কারণ। কথায় আছে না মনের শান্তি বড় শান্তি বাস্তবিক অর্থেই শান্তি থাকেনা যখন দেখা যায় যে তার পার্টনার অন্যের দ্বারা কলুষিত হয়েছে। ভবিষ্যৎ ডিপ্রেশন থেকে বাঁচতে আমাদের সকলের উচিত এসব নোংরামী থেকে দূরে থাকা।

Powered by themekiller.com