ষ্টাফ রির্পোটারঃ অাজ থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষার প্রথমদিন সকাল সাড়ে ১০টায় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান হাসান অালী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ও মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ শহরের বেশ কয়েকটি পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন।
৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার হল পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসকের সাথে ছিলেন সদর উপজেলা কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা, হাসান অালী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহম্মদ হোসেন, মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রাণনকৃষ্ণ দেবনাথ।
উল্লেখ্য চাঁদপুর জেলায় চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ৭১ কেন্দ্রে সাড়ে ৩৫ হাজার পরিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। আর তাই পরীক্ষা নির্বিঘ্নে পরিচালনা করতে কোচিং সেন্টার বন্ধসহ নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রশ্নফাঁসের গুজবে কান না দিতে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শিক্ষা শাখা সূত্রে জানা যায়, জেলার ৮ উপজেলায় ৪৪ কেন্দ্রে মোট এসএসসি পরিক্ষার্থী ২৭ হাজার ১’শ ৯৪।এর মধ্যে ছাত্র ১১ হাজার ৩’শ ৭৮ এবং ছাত্রী ১৫ হাজার ৮’শ ১৬ জন।দাখিল পরীক্ষায় মোট ১৭ কেন্দ্রে পরিক্ষার্থী ৭ হাজার ২’শ ৬৪ জন।এতে ছাত্র ৩ হাজার ৮৫ জন এবং ছাত্রী ৪ হাজার ১’শ ৭৯ জন।আর ভোকেশনালে মোট ১০ কেন্দ্রে ১ হাজার ৪’শ ৫৬ জন পরিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।যার মধ্যে ছাত্র ৯’শ ৮৮ জন এবং ছাত্রী ৪’শ ৬৮ জন।জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শিক্ষা শাখার উচ্চমান সহকারী নেছার আহমেদ তপাদার জানান,এবার এসএসসি ও সমমানের পরিক্ষায় মোট ৭১ কেন্দ্রে ৩৫ হাজার ৯’শ ১৪ জন পরিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।এর মধ্যে ছাত্র ১৫ হাজার ৪’শ ৫১ জন এবং ছাত্রী ২০ হাজার ৪’শ ৬৩ জন।অন্য এক তথ্য মতে,অন্যান্যবারের মতো এবারও পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করে নির্ধারিত আসনে বসার নিয়ম রয়েছে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীর দেরি হলে রেজিস্ট্রারে নাম, ক্রমিক নম্বর ও দেরির কারণ উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। দেরিতে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্র সচিব সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে পাঠাতে নির্দেশনা রয়েছে। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবে না। সেই সাথে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমন একটি ফোন ব্যবহার করবেন।যা দিয়ে ছবি তোলা বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না।আরো জানা যায়,ট্রেজারি বা থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-শিক্ষক-কর্মচারীরাও কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।এ ছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মোবাইল ফোনের সুবিধা সহ ঘড়ি, কলম সহ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ।