Breaking News
Home / Breaking News / চাঁদপুরের হানাচর ইউনিয়নে বাল্যবিবাহের হিড়িক

চাঁদপুরের হানাচর ইউনিয়নে বাল্যবিবাহের হিড়িক

স্টাফ রিপোর্টার ::
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৩ নং হানাচর ইউনিয়নে বাল্যবিবাহ বিষয়টি মহামারী আকার ধারণ করেছে। একের পর এক ঘটেই চলেছে বাল্যবিয়ে। সরকারী-বেসরকারী সকল উদ্যোগই যেন ভেস্তে যাচ্ছে সঠিক আইনী প্রদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে।

গত ৭ জানুয়ারী (বুধবার) ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের গোবিন্দিয়ায় পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী সোনিয়ার বিবাহের ঘটনা ঘটেছে। সোনিয়া ঐ এলাকার জাহাঙ্গীর বেপারীর শিশুকণ্যা।

কিন্তু জানা যায়, গেবিন্দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোরশেদ ও গ্রাম পুলিশ জয়নাল ও মুকবুল ছৈয়ালের সার্বিক সহযোগিতায় এ মারাত্নক ভয়াবহ অপরাধের ঘটনাটি সংঘটিত হয়।

বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে সচেতন মহল গণমাধ্যকর্মী ও পুলিশকে জানায়। গণমাধ্যমকর্মীরা গিয়ে জাহাঙ্গীর বেপারীর বাড়িতে বিয়ের কোন আলামত না পেয়ে ফিরে আসেন।

জানা যায়, জাহাঙ্গীর বেপারীর মামার বাড়ী মোর্শেদ মাস্টারের বাড়িতে এনে এহেন ঘৃণ্য কাজ ঘটায়।

বিয়ে হয়নি মর্মে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্ঠা চলছিলো। তিনদিন অতিবাহিত হওয়ার পর গোপন সূত্রে পুলিশ সংবাদ পেয়ে শিশুকণ্যা সোনিয়াকে চাঁদপুর শহরের ঘোড়ামাড়া আশ্রয় কেন্দ্র তার শ্বশুরাালয়ে পাওয়া যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়ে বর।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই সেলিম জানান, কণ্যাটির বয়স ১২-১৩ হবে। তাদেরকে অভিভাবক সহ ১২ জানুয়ারী (শনিবার) সকাল ১০ থানায় উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে সচেতন মহল থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় জানায়, ৫ম শ্রেনীতে পড়ুয়া কণ্যার বিয়েটির বিষয়ে কোন ধরনের আইনীভাবে দৃশ্যমান কঠোর ব্যবস্থা না নিলে বাল্যবিবাহ রোধে সরকারের সকল সভা-সেমিনার, শ্লোগান ভেস্তে যাবে। প্রশ্নবিদ্ধ হবে দায়িত্বে থাকা সরকারী কর্তাব্যক্তিগন।

এদিকে, এই ইউনিয়নে একের পর এক বাল্যবিয়ে দিয়ে পাড় পেয়ে যাওয়ার ফলে এমনটি ঘটেছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের এক বাসিন্দা জানান। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এটিও দেখবেন পুলিশ কিছুই করবে না।

জণৈক এক জনপ্রতিনিধি জানান, পক্ষদ্বয়ের অভিভাবককে আইনের আওতায় এনে কঠের ব্যবস্থা নিলে ঐ এলাকায় বাল্যবিবাহ রোধে দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করবে। পরবর্তীতে এহেন ঘৃণ্য কাজটি করার দুঃসাহস আর কেউ করবে না।

Powered by themekiller.com