Breaking News
Home / Breaking News / বিজয়ের মর্যাদা আমাদের সকলের বুকে ধারন করতে হবে “””””””” ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর, এমপি

বিজয়ের মর্যাদা আমাদের সকলের বুকে ধারন করতে হবে “””””””” ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর, এমপি

কচুয়া অফিসঃ
মানুষের অধিকার বিস্তৃত করার যে উপকরণ সে সকল কিছু আমরা অর্জন করেছি বিজয়ের মাধ্যমে। এই বিজয় না হলে আজকে আমরা এখানে উপস্থিত হতে পারতাম না। এই বিজয় না হলে আমাদের ঘরে ভাত জুটতো না, এই বিজয় না হলে আমরা কেউ পাকা সড়ক দিয়ে চলতে পারতাম না, এই বিজয় না হলে আমরা আমাদের ঘরে বিদ্যুতের আলো পেতাম না। এই বিজয় না হলে দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব হত না। এই বিজয় আমাদের সকলকে দিয়েছে সম্মান, সকলকে দিয়েছে কর্তৃত্ব, সকলকে দিয়েছে অধিকার। আমরা যদি আমাদের সম্মান রক্ষা করতে চাই, যদি আমাদের কর্তৃত্ব বৃদ্ধি করতে চাই তাহলে এই বিজয়ের মর্যাদা আমাদের সকলের বুকে ধারন করতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধান যারা লঙ্গন করে বাংলাদেশের বিজয়ের গুরুত্ব সকল মানুষের হৃদয় থেকে দুরে সরিয়ে নেয়ার জন্য যারা চেষ্ঠা করে কিংবা অধিকার অপদস্থ করে তারা কেবল আমাদের ঘৃনার পাত্র হবে না তাদেরকে আমরা চিরতরে বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করব। আমরা যদি আমাদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন হই তাহলে এই বাংলাদেশের বিজয়ের বিরুদ্ধে যারা কাজ করেছে তাদেরকে আমরা চিরতরে দমন করতে পারব। বাংলাদেশে মীরজাফরের স্থান নাই। বাংলাদেশের সংবিধান যারা লঙ্গন করেছে, বাংলাদেশে আমার আপনার অধিকার যারা নষ্ট করেছে নিজের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য তারা আমাদের সকলের কাছে মীরজাফর। বাংলাদেশ গনতান্ত্রিক দেশ। বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বুধবার সকালে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহবানে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বলেই আমরা আজ লাল সবুজের একটি স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। বিশ্বের মানচিত্রে আজ আমরা স্বাধীন। ১৯৭৫ এর কালো রাত্রিতে বঙ্গবন্ধু সহ উনার স্ব-পরিবারে হত্যার পর মুক্তিযোদ্ধা গণ ভীত হয়ে পড়েছিলেন, এখন মুক্তিযোদ্ধাগণ সম্মানিত। মুুুক্তিযোদ্ধাদের নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের কারণেই আজ আমরা স্বাধীন। তাদেরকে বর্তমান আওয়ামী লীগের সরকার বার বার পুরস্কৃত করে আসছে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে আমরা লাল সবুজের বাংলাদেশ পেয়েছি। বাংলাদেশের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। বাঙালী জাতি ভাষা ও স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম. জাকির হোসেন সবুজ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আইয়ুব আলী পাটওয়ারী, সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ, শহিদ দর্জি, আমির হোসেন, কামরুন্নাহার, হুমায়ুন কবির, কাদলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম লালু, পৌর মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. নাজমুল আলম স্বপন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আকতার হোসেন সোহেল ভূইয়া, ফয়েজ আহমেদ স্বপন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান সুলতানা খানম, আওয়ামী লীগ নেতা ইমাম হোসেন মেহেদী, মো. খোকন, ১নং সাচার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.মিন্নত আলী তালুকদার, ৩নং বিতারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কবির হোসেন, ৪নং পালাখাল মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.আহাদ মিয়া, ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. সোহরাব হোসেন সুমন, ৬নং কচুয়া উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী জহিরুল ইসলাম টগর, ৮নং কাদলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহঙ্গীর আলম, ৯নং বিতারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.আব্দুল সালাম সদাগর, ১০ গোহট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি “মো. আমিনুল ইসলাম, ১১নং গোহট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সেলিম হোসেন, সাধারন সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন, ১২নং আশ্রাফপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শফিকুর রহমান মাষ্টার, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল প্রধান, উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন ভূঁইয়া, উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাচ্ছেল হোসেন খান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম খলিল বাদল। এছাড়াও উপজেলার সকল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ বক্তব্য রাখেন।

Powered by themekiller.com