বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মতলব দক্ষিণ উপজেলার পিংড়া বাজার সংলগ্ন গোবিন্দপুর গ্রামের মিজান প্রধানীয়ার স্ত্রী সুইটি আক্তার (২১) এর ৬দিনেও খোঁজ মিলেনি। গত ৩১ অক্টোবর স্বামীর বাড়ি থেকে আনুমানিক সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে চলে গেছে বলে সুইটির বাবার বাড়ির লোকজনকে ফোন করে জানিয়েছেন তার শশুড় বাড়ির লোকজন। মেয়ের খবর শুনে তারা তাৎক্ষনিক সকল আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নেন। তার কোন সন্ধান না পেয়ে পরদিন ১ নভেম্বর সুইটির বড় বোন মতলব থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করে। যার নং- ১৯।
এরপর থেকে সুইটির শশুড় বাড়ির লোকজন সুইটির সন্ধান না করে তার বাবা, মা ও ভাই- বোনদেরকে মোবাইলে বিভিন্ন লোক দিয়ে হুমকি ধমকি প্রদান করেন এবং বসে মিমাংসা করার জন্য বলেন। এছাড়াও তারা বিভ্রান্তি মূলক তথ্যদেন ও কথা বার্তা বলেন, এতে সুইটির পরিবারের লোকজনদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। সুইটির স্বামীর বাড়ির লোকজনও দুইদিন পর মতলব দক্ষিণ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
সুইটির পরিবারের লোকজন মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। তার মেয়ে কোথায় আছে, কেমন আছে বা আদো বেঁচে আছে কিনা? শশুড় বাড়ির লোকজনের বিভ্রান্তি মূলক কথা বর্তায় সন্দেহ সৃষ্টির ফলে চাঁদপুর পুলিশ সুপারের কাছে সুইটির বাবা ও বোন সাক্ষাৎ করেন। পুলিশ সুপার তাৎক্ষনিক বিষয়টি দেখার জন্য ওসি ডিবিকে নির্দেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, ফরিদগঞ্জ উপজেলার বেহেরিপুর গ্রামের মোঃ হুমায়ুন কবির খানের ছোট মেয়ে সুইটি আক্তারের সাথে মতলব দক্ষিন উপজেলার পিংড়া বাজার সংলগ্ন গোবিন্দপুর গ্রামের মিজান প্রধানীয়ার সাথে তিন বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়।