বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সাম্প্রতিক সময় আওয়ামী লীগের শুদ্ধি অভিযানে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছে যুবলীগ। এখন পর্যন্ত যারা আটক হয়েছেন তাদের সকলের সঙ্গে যুবলীগের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন, আওয়ামী যুবলীগের কিছু মনস্টার (দানব) তৈরী হয়েছে। যারা ছাত্রলীগের চেয়েও খারাপ।
এই বাস্তবতায় অনিবার্য হয়ে উঠেছে যুবলীগের নেতৃত্বের পরিবর্তন হবে। আর এতে জাতীয় ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার নাম আলোচিত হচ্ছে। এর বাইরেও অনেক নাম আলোচনায় আসছে। তবে মাশরাফিকে নিয়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে।
এ বিষয়ে সিপিবির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, যে পদ্ধতিতে যুবলীগের চেয়ারম্যান পদের জন্য নামগুলো আসছে, তা সাংগঠনিক পদ্ধতি বলে আমরা মনে করি না। এখানে সংগঠন তার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চলবে। কাউন্সিল করবে, সেখানেই নির্ধারণ হবে কে, কারা নেতৃত্ব দেবেন সংগঠন। কিন্তু কোনো ব্যক্তিকে ওপর থেকে চাপিয়ে দেয়া গণতন্ত্রকে খর্ব করে।
সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, মাশরাফি বিন মুর্তজাকে আমি অনেক যোগ্য ও ভালো রাজনীতিবিদ মনে করি। নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সব ধরনের যোগ্যতা তার আছে। সম্ভাবনাও বিপুল। কিন্তু তাদের যুবলীগের নেতৃত্বের বিষয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, তা একটা গুজব। গুজবকে ভিত্তি ধরে কোনো কথা বলা উচিত নয়। বলতেও চাই না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট আরিফ জেবতিক বলেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা একজন অসাধারণ নেতা। কিন্তু আপনি যখন তাকে রাজনৈতিক দক্ষতা অর্জনের আগে কোনো বড় সংগঠনের দায়িত্ব দিয়ে দেবেন, এতে তার প্রতিও একটা অন্যায্য করা হবে। রাজনীতিতে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জনের আগে একটা বড় সংগঠনের দায়িত্ব তাকে সরাসরি দেয়া উচিত হবে না। তার নেতৃত্বে আসা উচিত, তবে রাজনীতিতে যথেষ্ট দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার অজনের পর।