বাংলারমুখ ডেস্কঃ
ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার সদ্য বহিষ্কৃত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের মহাখালীর বাসায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এ সময় সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ তিনি যেনো ছাত্রলীগ, যুবলীগ সহ আওয়ামী লীগের যত অঙ্গ সংগঠন আছে সেগুলোর জন্য আলাদা ফান্ড করেন। তাহলেই অপরাধ করার প্রবণতা অনেকাংশে কমে যাবে।
সম্রাটপত্নী বলেন, একটা কথা মনে রাখবেন খালি মুখে কোনো কাজ হয় না। মানুষ যখন ক্ষুদার্থ তাকে তখনই বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পরে। এছাড়া সম্রাট সফট মাইন্ডের লোক। তার কাছে অস্ত্র থাকতে পারে না। আর রাজধানীতে বিদেশি স্টাইলের এতো ক্যাসিনো ছিল সেটা তো আমি জানতামই না। দুইশ’ গজ দুরে থেকে যদি মতিঝিল থানার পুলিশ না জানে তাহলে বউ হয়ে কিভাবে জানবো? সে যদি এর সঙ্গে জড়িত হয় আমি চাই প্রচলিত আইনে তার বিচার হোক।’
সম্রাট মহাখালী বাসায় আসতো না জানিয়ে তিনি বলেন, গত দু’বছর সম্রাট এই বাসায় আসেনি। এটা পুরোনো বাসায়। এখানে লিফট নেই। সিঁড়ি বাইতে পারতেন না বলে তিনি এই বাসায় আসতেন না।
স্বামী হিসেবে সম্রাট খুবই ভালো দাবি করে তিনি বলেন, দুই বছর এই বাসায় না এলেও নিয়মিত খরচ দিতেন তিনি। কোনোকিছু চাইলে কোনোদিনও না করতেন না।
উল্লেখ্য ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের তিনজন স্ত্রী রয়েছেন। এর মধ্যে একজন বিদেশি স্ত্রী আছে বলেও জানা গেছে। পারিবারিক সূত্র জানা গেছে, সম্রাটের দুই স্ত্রী। প্রথম পক্ষের স্ত্রী বাড্ডায় থাকেন। প্রথম পক্ষে সম্রাটের এক মেয়ে। তিনি পড়াশোনা শেষ করেছেন।
সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরী মহাখালীর ডিওএইচএসে থাকেন। তার এক ছেলে। তিনি মালয়েশিয়ায় এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
সিঙ্গাপুরে সম্রাটের বিদেশি একজন স্ত্রী আছে বলেও পারিবারিক সূত্রটি জানায়। তবে ওই স্ত্রীর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সূত্রটি জানিয়েছে, সম্রাট মহাখালীতে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসাতেই স্থায়ীভাবে থাকতেন। তবে দুই বছর ধরে তিনি বাসায় যেতেন না। কাকরাইলে নিজের কার্যালয়ে থাকতেন। তবে বাসার বাইরে থাকলেও গাড়ির চালকের খরচসহ পরিবারের সব খরচ দিতেন সম্রাট।