অনলাইন ডেস্ক :বর্তমান সরকারকে জনসমর্থনহীন ও অনির্বাচিত মনে করে সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা: বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট ও ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়া।
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে দুইটি জোট। আজ শনিবার বিকেলে পাঁচ দফা দাবি ও নয়টি ল্য প্রকাশ্যে ঘোষণা করবেন জোটের নেতারা। জোটের শীর্ষ পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতাদের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বাংলা ট্রিবিউন।
গত বৃহস্পতিবার রাতের বৈঠকে ড. কামাল হোসেন শহীদ মিনার থেকে আজ শনিবার সকালে কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা ছিল। পরে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণার সময়ের ব্যাপারে পরিবর্তন আসে। জোটের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা ডা: জাহেদ উর রহমান জানান, ‘যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান বি. চৌধুরীর শারীরিক অসুস্থতার কারণে সকালের আয়োজন পিছিয়ে বিকেলে নেয়া হয়েছে।
আজ বিকেল ৪টায় শহীদ মিনার থেকে জাতীয় নেতারা কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত করবেন।’ তবে ভেনু হিসেবে শহীদ মিনারের অনুমতি এখনো পাওয়া যায়নি। অনুমতি না মিললে সে েেত্র জাতীয় প্রেস কাব মিলনায়তনে পাঁচ দফা দাবি ও নয়টি ল্য ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান।
জোটের সূত্রগুলো বলছে, ইতোমধ্যে যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার দফাগুলো সমন্বয় করে পাঁচ দফা দাবি চূড়ান্ত করা হয়েছে। একই সাথে জোটের ল্য নির্ধারণ করা হয়েছে নয়টি। মোট ১৪ দফা প্রস্তাব করবেন জোটের নেতারা। আজ বিকেলে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সাংবাদিকদের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে প্রস্তাবগুলো।
জোট সূত্র জানায়, পাঁচ দফা দাবির মধ্যে সবই সরকারের উদ্দেশে করা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেÑ নির্দলীয়-নিরপে সরকারের অধীনে নির্বাচন করা, তফসিলের আগেই সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে নির্বাচনী রোডম্যাপ নির্ধারণ, নির্বাচনের এক মাস আগে সংসদ ভেঙে দেয়া, বর্তমান সরকার বাতিল করা, নির্বাচনের এক মাস আগে ও ১০ দিন পর পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেসি মতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করা, ইভিএম বাতিল, নিরপে ও নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা।
নির্বাচনকালীন সরকারের কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ না নেয়া। সংবিধানের সাত অনুচ্ছেদে বর্ণিত সংবিধানের প্রাধান্যকে সমুন্নত করে রাষ্ট্র পরিচালনা করা। স্বাধীন ও মতাসম্পন্ন নির্বাচন কমিশন গঠন করা। গণমুখী প্রশাসন তৈরি করা, রাষ্ট্রের আর্থিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করা ইত্যাদি বিষয় থাকবে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনে গ্রেফতার ব্যক্তিদের মুক্তি, মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান থাকতে পারে।
সূত্রের দাবি, নয়টি লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় মতার বিকেন্দ্রীকরণের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। এ দাবি যুক্তফ্রন্টের ৯ দফার অন্যতম ছিল। সেখানে বলা আছেÑসরকার, সংসদ, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মতার ভারসাম্য নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া দেশের ভবিষ্যৎ পররাষ্ট্রনীতি, বিনিয়োগ পরিস্থিতি, দুর্নীতির বিচার করা এবং মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে শরণার্থীদের বিষয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধির বিষয়টি থাকতে পারে।