Breaking News
Home / Breaking News / জামালপুরে শিশু নির্যাতন কারী উজ্জল মাষ্টারের শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ৷

জামালপুরে শিশু নির্যাতন কারী উজ্জল মাষ্টারের শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ৷

নিপুন জাকারিয়া :–

জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের পশ্চিম রণরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেনীর এক কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন এবং হয়রানি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুদ্ধ এলাকা বাসী। সোমবার দুপুরে পশ্চিম রণরামপুর ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিবাবক এবং এলাকাবাসী আয়োজনে একটি বিক্ষোভ বের করে, রণরামপুর বাজারসহ বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে বিদ্যালয় প্রঙ্গনে এসে শেষ করে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগে সদস্য মজিবর রহমান, ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি- এনামুল হক, স্থানীয় রিপন, চঞ্চল, এলিন, রতন, আব্দুর কাদেরসহ অনেকে। এ সময় বক্তারা বলেন – ফজলুল হক মাওলানার আসকারায় তার ভাতিজা দুদু মিয়ার ছেলে উজ্জল মাষ্টার বিভিন্ন সময় কোমলমতি মেয়েদের তার নির্যাতনের শিকার করেছেন। ২০১১ সাল থেকে বিদ্যালয়ের সভাপতি মাধ্যমে পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায়, প্রাইভেটের সুবিধার জন্য, বিদ্যালয়ে চাকরি নেন উজ্জল। ওই বিদ্যালয়ের চাকরি করার সুবাদে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তার কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করতেন। পরে ২০১৫ সালের শেষের দিকে এই বিদ্যালয়ের একটি মেয়েকে তার লালসার শিকারে পরিনত করে। ওই ঘটনায় মেয়েটি গর্ভবতী হলে, এলাকাবাসীর চাপে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। এর পর নানা ভাবে আরো ৫ টি কোমলমতি শিক্ষার্থীকে তার নির্যাতনের শিকার করলেও স্থানীয় মাতাব্বরদের সমঝতায় তা ধামাচাপা দেওয়া হয়। বর্তমানে উজ্জল ন্যাশনাল সার্ভিজের কল্যাণে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। সে শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী হয়রানি করার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়৷ এ ঘটনা সম্পর্কের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা খাতুন বলেন- শিক্ষার্থীর বাবা সাইদুর রহমান আমার কাছে এসে বিচার চেয়েছেন। আমি ঘটনাটি সভাপতিকে বলেছি। প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে, তিনি এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেন নি বলে জানান।

বিদ্যালয়ের সভাপতি শামীম জানান- আমার বাবা এ বিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলেন, সেই সুবাদে আমিও সভাপতি। তিনি বলেন- রাত ৩ টা পর্যন্ত বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করেছি। মিমাংসা না হওয়ায় তিনি উজ্জলের কাজ থেকে চাবি নিয়ে তাকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন আমি নান্দিনা বাজারে ব্যাবসা নিয়ে ব্যাস্ত থাকি। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি, এটাকে কোন সমস্যা মনে করি না।

শরিফপুরের ইউপি চেয়ারম্যান রফিকল ইসলাম আলম জানান- আমি ঘটনাটি শুনেছি। ওই শিক্ষক ন্যাশনাল সার্ভিজের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের শিক্ষতা করেন।

জামালপুর সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাহিদা আক্তার জানান- এ বিষয়ে কোন প্রকার শিখিত অভিযোগ এখনো পযর্ন্ত আসেনি। অভিযোগ পেলে ন্যাশনাল সার্ভিজের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকতা মাজাহারুল জানান আমার কাছে এখন পর্যান্ত লিখিত অভিযোগ আসেনি। অফিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

ওই বিষয়ে জামালপুর যুব উন্নয়ন কর্মকতার মুঠো ফোনে ফোন করে পাওয়া যায়নি।

উজ্জলের বাবাকে বাড়ীতে পাওয়া না গেলেও তার চাচা শাহাবাজপুর আউলাই দাখিল মাদ্রাসার সহকারি সুপারেন্টেড মাওলানা ফজলুল হক জানান, বিষয়টি শুনে রাতে এবং সকালে মিমাংসা চেষ্টা করেছি। কিন্তু ভাতিজা উজ্জল পলাতক থাকায় মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি।

তার স্ত্রী জানান – উজ্জল কাল থেকে বাড়ীতে নেই।
আগেও এ রকম অভিযোগ ওঠেছিল তার স্বামীর বিরোদ্ধে।

এ ঘটনায় পশ্চিম রণরামপুর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর এ ঘটনার সঠিক বিচারের দাবী করেন।

Powered by themekiller.com