Breaking News
Home / Breaking News / ৪৬ গার্মেন্ট বন্ধ, চাকরি হারিয়েছে সাড়ে ২৫ হাজার শ্রমিক

৪৬ গার্মেন্ট বন্ধ, চাকরি হারিয়েছে সাড়ে ২৫ হাজার শ্রমিক

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গত সাড়ে ৬ মাসে ৪৬টি তৈরি পোশাক কারখানা (গার্মেন্ট) বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৪৫৩ শ্রমিক ও কর্মকর্তা। গার্মেন্ট খাতের এ অবস্থা সার্বিক অর্থনীতিতে চাপ বাড়াবে।
শুক্রবার মুঠোফোনে জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে আজ (১৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ৪৬টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে এবং ২৫ হাজার ৪৫৩ শ্রমিক ও কর্মকর্তা চাকরি হারিয়েছেন।
‘এটা আমাদের গার্মেন্ট খাতে সাংঘাতিক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কারণ এতোগুলো মানুষের চাকরি গেলে তারা কোন সেক্টরে চাকরি পাবে না’ বিজিএমইএ সভাপতি।
তিনি বলেন, সারাক্ষণ আমাদের বলা হচ্ছে আমরা ভালো করছি। আমরা আসলে কোথায় ভালো করছি? ব্যবসার বৈশ্বিক যে আবহাওয়া তাতে আমি মনে করি না আগামী নভেম্বর বা ডিসেম্বরের আগে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। এতোগুলো মাস আমরা সামলাবো কীভাবে?
একের পর এক ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এমন মন্তব্য করে রুবানা হক বলেন, সবাই বলছে আমেরিকার জন্য ব্যবসা বাড়বে। ব্যবসা বাড়বে ঠিক আছে। কিছুলোক হয় তো রফতানি করবেন বেশি। কিন্তু ক্ষুদ্র ও মাঝারি যে কারখানা আছে, সেগুলো কিন্তু একটার পর একটা বন্ধ হচ্ছে। এটা কিন্তু আমরা সামলাতে পারছি না।
গার্মেন্ট খাতের এই চিত্র সার্বিক অর্থনীতিতে চাপ বাড়াবে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আগস্টে ব্যবসা কম হয়েছে। সেপ্টেম্বরেও ব্যবসা কম। এবারও আমরা নেগেটিভ যাবো। তার মানে আমাদের কোথাও মিসম্যাস আছে।
গার্মেন্ট খাতের ব্যাপক সম্ভাবনা আছে এমন মন্তব্য করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, গার্মেন্টের প্রচুর সম্ভাবনা আছে। আগামী ১০ বছর আমরা খুব ভালো করতে পারি। তবে আমাদের ওই জায়গায় যেতে হবে। কেন ভিয়েতনাম ভালো করছে? আমরা করছি না। ভিয়েতনামের ব্যবসা প্রায় ১২ শতাংশ বেড়ে গেছে। আমাদের কেন বাড়ছে না বা কেন আমরা ভালো করছি না।
ব্যবসা ভালো করার জন্য গবেষণার ওপর জোর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আসলে মার্কেট স্টাডি ঠিকমত করছি না। মার্কেট স্টাডি যদি না করি তাহলে আমাদের পরবর্তীতে কি হবে এবং আমরা কোথায় যাবো। এটা একটা বিরাট ব্যাপার আমাদের জন্য। সবমিলিয়ে আমাদের অনেক রিসার্সের (গবেষণার) দরকার আছে।
তিনি বলেন, সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা বায়ারদের (ক্রেতা) ব্যবসা বাড়াতে বলবো। একই সঙ্গে পণ্যের দাম বাড়াতে বলবো। আমরা এতো কমপ্লায়েন্স করলাম এখন তো তাদের ব্যবসা বাড়াতে হবে। শুধু পণ্যের দাম বাড়ালে হবে না, দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসাও বাড়াতে হবে। আমি চায় না আমাদের আর একটি কারখানাও বন্ধ হোক।

Powered by themekiller.com