অভিজিত রায় :: চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার হুরসভারএলাকার নদী ভাঙ্গণ কবলিব এলকিা পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ এম এনামুল হক শামীম। সোমবার (৫ আগস্ট) সকাল ১০ টায় চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধের এলাকা পরিদর্শণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, চাঁদপুর ও হাইমচর উপজেলা স্থায়ীভাবে রক্ষাকল্পে ১১শ’ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। চাঁদপুর হাইমচরকে যে কোন মূল্যে মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষা করা হবে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেঘা প্রকল্পের আওতায় এই প্রকল্প একনেকে পাশ হওয়ার পরেই চলতি বছরের মধ্যেই কাজ শুরু করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, চাঁদপুর ভাঙ্গণ শুরু হওয়ার পর থেকেই আমার সাথে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রেখেছেন। আমরাও চাঁদপুর শহর রক্ষায় খুবই আন্তরিক। কারণ আমিও আপনাদের পাশের এলাকার সন্তান। নদী ভাঙনের শিকার হলে যে কি কষ্ট সেটা আমার জানা আছে। কারণ নদী ভাঙনের শিকার হয়ে আমাদের নিজ ঠিকানা পরিবর্তন করতে হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ১১শ’ কোটি টাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সম্ভব না হলে প্রয়োজনে ১৫শ’ কোটি টাকা এ প্রকল্পে ব্যয় করা হবে। এসময় তিনি এলাকার জনগণের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পের কাজটি যাতে করে সেনাবহিনী মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়, সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করা হবে বলে জানান।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা প্রশাসক ভারপ্রাপ্ত মো. শওকত ওসমান।
স্থানীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এ- ইন্ডাষ্ট্রিজ এর সহ-সভাপতি ও চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিসদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়।
মন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ডিজাইন মোতাহার হোসেন ও প্রধান প্রকৌশলী কুমিল্লা অঞ্চল জহির উদ্দিনসহ আরো উর্ধ্বতন কর্মকতাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশসুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান, জেলা যুবলীগের যুগ্ম অাহবায়ক মাহফুজুরর রহমান টুটুল, চাঁদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী মাঝি, চেম্বারের পরিচালক গোপাল সাহসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বহু নেতা-কর্মী।