Breaking News
Home / Breaking News / চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে ভয়াবহ ভাঙ্গন।। ৩টি মন্দির হুমকির মুখে।। ৩শ’ মিটার নদীগর্ভে বিলীন

চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে ভয়াবহ ভাঙ্গন।। ৩টি মন্দির হুমকির মুখে।। ৩শ’ মিটার নদীগর্ভে বিলীন

এম. আর হারুনঃ চাঁদপুর শহরের পুরানবাজারের হরিসভা এলাকার প্রায় ৩শ’ মিটার এলাকা ভয়ালগ্রাসী মেঘনা অতলে তলিয়ে গেছে। গত শনিবার দিবাগত রাতে মেঘনার ভাঙ্গনের খেলা শুরু হলে এলাকাবাসীর মধ্য চরম আতংকের সৃষ্টি হয়। সুত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর থেকে মেঘনার উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে হরিসভা মন্দিরের সম্মুখে মরন সাহার বাড়ি ও শম্ভ দে’র বাড়িসহ ২টি ভ্রাম্যমান দোকান বিলীন হয়ে যায়।

পার্শ্ববর্তী বাড়ি গুলো ভাঙ্গনমুখীতে প্রায় ১০/১২টি বসত ঘর সরিয়ে নেয়া হয় নিজ নিজ উদ্যোগে। ভাঙ্গনের সংবাদ শুনে চাঁদপুর পানি উন্নয়নের কর্মকর্তা, চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষন করে। আজ রবিবার পানি উন্নয়ন বোড ভাঙ্গন রক্ষায় অগনিত বালি ভর্তি জিওটেক্স ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। সকালে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ জিহাদুল কবির ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং পানি উন্নয়ন বোডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানান। বিশেষ করে পুরানবাজারের শত বছরের পুরানো মদন মোহন মন্দির, ইসকন মন্দির ও লোকনাথ মন্দিরসহ অর্ধশতাদিক বসত ভিটে হুমকির মুখে রয়েছে। বর্ষায় মেঘনার পানি দ্রুত বৃদ্ধি ও উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের প্রায় ৩শ’ মিটার এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার কারনে পুরানবাজারবাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। গত কয়েক বছর পুর্বে বর্তমান সরকার চাঁদপুর হাইমচর রক্ষায় প্রায় ৩শ’ কোটি ব্যায় করে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ সংরক্ষন করেন। কিন্তু প্রতি বছরই ভয়ালগ্রাসী মেঘনার ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে যাচ্ছে বাঁধের বিভিন্ন স্থান। সরেজমিন দেখা যায়, পুরানবাজার হরিসভা মন্দিরের সম্মুখে ভয়ালগ্রাসী মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ার পুর্বেই কয়েকটি বসত ঘর সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। মরন সাহা ও শম্ভু দে’র ৭টি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এদিকে বনিক বাড়ীসহ মেঘনা বাঁধের কয়েকটি ঘর হুমকির মুখে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ভাঙ্গনস্থল ১০/১২ ফুট গভীরতা সৃষ্টি হয়েছে। বালি ভর্তি জিওটেক্স ব্যাগ স্থাপন করা হচ্ছে। ভাঙ্গন রক্ষায় আরো প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। এদিকে স্থানীয় অনু বনিক জানান, মাটির নীচের ভাগ খোলস হয়ে গিয়ে বসত ঘর গুলো তলিয়ে গেছে। তিনি আরো জানান, জেলা প্রশাসন ভাঙ্গন এলাকায় নিরাপত্তার কঠোর দায়িত্ব পালন আসছে এবং হরিসভা সড়কে কোনো প্রকার যান চলাচল বন্ধ রেখেছে। হরিসভা রোডও হুমকির মুখে রয়েছে যেকোনো মুহুর্তে সড়কটি দেবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Powered by themekiller.com