আবু হেনা মোস্তফা কামাল: ফরিদগঞ্জে জাহেদা আক্তার মিশু খুনের ৩৬ ঘন্টার মধ্যে খুনী সুজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। তাকে ফরিদগঞ্জ থানা হাজতে রাখা হয়েছে। সুজনকে আটকের খবর শুনে মিশুর নিকটাত্মীয়সহ থানার সামনে কয়েক শত মানুষ জড়ো হন। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় নারিকেলতলা নামক স্থানে একটি বাগান থেকে তাকে আটক করা হয়। সুজন এলাকা থেকে পালিয়ে যাবার পরিকল্পনা করেছিলো বলে শিকার করেছে।
পুলিশ জানায়, সুজনকে আটকের জন্য সোমবার দুপুর থেকে সাদা পোশাকে পুলিশের কয়েকটি টিম এলাকা ঘিরে রাখে। তাদের সঙ্গে অংশ নেন এলাকার যুব সমাজসহ প্রায় দুই শত মানুষ। সোমবার দুপুর থেকে সারা রাত লোকজন বিভিন্ন বাড়িঘর ও বাগান ঘিরে রাখে। সুজন নারিকেলতলা নামক এলাকায় আছে। সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে এমন খবর পেয়ে অফিসার ইন-চার্জ আব্দুর রকিব পুলিশের একটি টিম নিয়ে ওই এলাকা ঘিরে ফেলেন। এ সময় একটি বাগানে ঘাপটি মেরে থাকা সুজনকে পুলিশ ধরে আটক করে।
থানায় নিয়ে আসার পর গণমাধ্যম কর্মীগণের মুখোমুখি করানো হয় তাকে। গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে মিশুকে দা দ্বারা কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন সুজন। আটকের সময় সুজন প্যান্ট শার্ট পড়া অবস্থায় ছিলেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এলাকা থেকে দূরে কোথাও পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এলাকাবাসী তাকে ঘিরে রাখার বিষয়টি টের পেয়ে বের হতে পারছিলেন না। থানা হেফাজতে নেয়ার পর তাকে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক দেখাচ্ছিলো।
এদিকে, সুজনকে আটকের কথা স্বীকার করে অফিসার ইন-চার্জ আব্দুর রকিব এলাকাবাসী ও গণমাধ্যম কর্মীদের ধন্যবাদ জানান। এক পশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হত্যার মোটিভ ও অন্যান্য তথ্যাদি জানতে সুজনের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার সকাল ৬টা নাগাদ স্থানীয় চরমঘুয়া গ্রামের মৃত সেলিম বেপারী (সাদ্দাম) এর ঘরে ঢুকে বিবাহিতা কন্যা মিশুকে কুপিয়ে খুন করে। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মিশু মারা যান। মিশুকে খুন করার আগে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাবে দিতো সুজন। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন। সুজনের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মিশুকে হত্যার পরিকল্পনা করেন সুজন। মি কে নির্মমভাবে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় এলাকা ক্ষোভ ও শোকের ছায়া নেমে আসে।