Breaking News
Home / Breaking News / কেরানীগঞ্জ নাকি রিয়াদ?

কেরানীগঞ্জ নাকি রিয়াদ?

ষ্টাফ রির্পোটারঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়া কি কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবেন নাকি তিনি সৌদি আরবের রিয়াদে চিকিৎসার জন্য যাবেন তা নির্ধারিত হবে আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যেই। বেগম খালেদা জিয়া যদি তার বিরুদ্ধে দায়ের করা তিনটি মামলার ব্যাপারে তার অবস্থানের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা করেন তাহলেই তার জামিন বা প্যারোল হতে পারে। সেই সূত্রেই তাকে জামিনে বা প্যারোলে সৌদি আরবে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হতে পারে।
এ ব্যাপারে সৌদি সরকারেরও আগ্রহ রয়েছে। সরকারও এই তিনটি মামলায় শর্তসাপেক্ষে বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দিতে আগ্রহী। এই তিনটি মামলা হলো-
১. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযু্দ্ধ বিষয়ে অবমাননাকর উক্তি।
২. মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে অবমাননাকর উক্তি।
৩. বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব নিয়ে অবমাননাকর উক্তি।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে বেগম খালেদা জিয়া যদি স্বীকার করেন যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার স্বপক্ষে অবস্থান নিয়ে তার কটূক্তি ভুল ছিল, তিনি মুচলেকা দিয়ে বলেন যে এটা বলা তার অনুচিত হয়েছে; শহীদের সংখ্যা নিয়ে তিনি যে মন্তব্য করেছিলেন সেটাও যদি তিনি মুচলেকা দিয়ে বলেন যে সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো তার ঠিক হয়নি; এবং তিনি মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা নিয়ে তিনি যে কটাক্ষ করেছিলেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের পক্ষে তিনি যে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য দিয়েছিলেন সেগুলো যদি আদালতে অনভিপ্রেত বলে মন্তব্য করেন তাহলে এই মামলা তিনটি থেকে তিনি কেবল অব্যাহতিই পাবেন না, বরং জামিনের পথ সুগম হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে ৩৭ টি মামলা রয়েছে তার মধ্যে এই তিনটি মামলা হলো অন্যতম। এই তিনিট মামলার একটিতেও তিনি এখন পর্যন্ত জামিন পাননি। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, এই মামলাগুলো স্পর্শকাতর। এই মামলাগুলোর সঙ্গে জনগণের আবেগ জড়িত রয়েছে। কাজেই বেগম খালেদা জিয়ার এই মামলায় মুক্তি পাওয়া না পাওয়া মূল বিষয় নয়, এই বিষয়গুলোর ব্যাপারে বেগম খালেদা জিয়ার মৌলিক অবস্থান কি সেটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বেগম খালেদা জিয়া যদি তার অবস্থান সুস্পষ্ট করেন তাহলে তিনি এসব মামলায় জামিন পেতে পারেন।
অবশ্য এই বিষয়গুলোতে খালেদা জিয়ার অবস্থান কি তা এখনো সুস্পষ্ট হয়নি। তবে তার ঘনিষ্ঠরা বলছেন, তিনি এখনো এই ব্যাপারে অনঢ় অবস্থানে রয়েছেন। তার ওপর চাপ সৃষ্টি করেই সরকার কেরানীগঞ্জের হাসপাতালে তাকে স্থানান্তরের বিষয়টি সামনে এনেছে। যদি খালেদা জিয়ার এই মামলাগুলোর বিষয়ে সরকারের এই উদ্যোগ ফলপ্রসূ না হয় তাহলে খালেদা জিয়াকে হয়ত কেরানীগঞ্জের হাসপাতালে যেতেই হবে। যদি শেষপর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়া দোষ স্বীকার বা সমঝোতায় রাজি হয় তাহলেই চূড়ান্ত হতে পারে তার প্যারোল বা জামিন।

Powered by themekiller.com