ঢাকার সরকারি একটি গুদাম ও কয়েকটি বাজারে অভিযান চালিয়ে ২১৫ টন চাল ও আটা জব্দ করে র্যাব জানিয়েছে, এসব খাদ্যপণ্য কালোবাজারে বিক্রি করা হয়েছিল।
তেজগাঁও সরকারি খাদ্যগুদাম, কাকরাইল, কারওয়ান বাজার ও মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে শনি ও রোববার এই অভিযান চালানো হয়।
খোলা বাজারে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রির জন্য নির্ধারিত এসব চাল ও আটা অবৈধভাবে বিক্রি করা হয়েছিল জানিয়ে র্যাব বলেছে, এই ঘটনা তদন্তের জন্য দুদককে বলা হবে।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জানান, “স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষের জন্য ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলে ১৪১টি ট্রাকে করে এসব চাল ও আটা বিক্রি করার কথা। তা না করে খাদ্য গুদামের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব কালোবাজারে বিক্রি করে ছিল।”
তিনি জানান, গোপনীয় সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার সন্ধ্যা থেকে তেজগাঁও খাদ্য গুদামের আশে পাশে ওঁৎ পেতে ছিলেন র্যাব সদস্যরা। তখন খবর পান চাল ও আটা নিয়ে ৫টি ট্রাক গুদাম বের হয়েছে।
“খবর পাওয়ার সাথে সাথে তেজগাঁও রেল ক্রসিং এলাকা থেকে চারটি ও কাকরাইল এলাকা থেকে অন্য ট্রাকটি আটক করা হয়।”
এছাড়া তিনটি ট্রাককে গুদামের সামনে থেকে চাল-আটার বস্তাসহ আটক করা হয়।
আটটি ট্রাকে থাকা প্রায় ১১৫ টন চাল ও আটা অবৈধভাবে ঢাকার বাইরে নেওয়া হচ্ছিল বলে জানান সারোয়ার আলম।
তিনি বলেন, “পরে গভীর রাতে তথ্য আসে রাজধানীর কৃষি মার্কেটের কয়েকটি দোকানে এ ধরনের চাল ও আটা রয়েছে। রাত ৩টার দিকে আমরা কৃষি মার্কেটের ১১টি দোকানে অভিযান চালিয়ে সরকারি বস্তায় থাকা একশ টন চাল ও আটা জব্দ করি।”
কৃষি মার্কেটের দোকান মালিকরা অভিযানের খবর পেয়েই পালিয়ে যান বলে জানান র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার।
তিনি বলেন, তেজগাঁও খাদ্য গুদামের ব্যবস্থাপকসহ কয়েকজনকে ধরার পর তাদের কর্তৃপক্ষের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান চেয়ে সারোয়ার আলম বলেন, “পুরো বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে প্রতিবেদন আকারে দেওয়া হবে। একই সাথে অনুসন্ধান করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুদককে অনুরোধ জানানো হবে।”