Breaking News
Home / Breaking News / বিয়ের ২ মাস পর ৭ মাসের বাচ্চার জম্ম, মেলান্দহ উপজেলার শিক্ষা কর্মকতার পলায়ন

বিয়ের ২ মাস পর ৭ মাসের বাচ্চার জম্ম, মেলান্দহ উপজেলার শিক্ষা কর্মকতার পলায়ন

নিপুন জাকারিয়া :–

জমালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের রঘনাথপুর গ্রামের হত দরিদ্র মৃত আয়নাল মন্ডলের মেয়ে আকলিমা (১৫) ৭ মাসের বাচ্চার জম্ম দিয়েছে। বাচ্চা জম্ম নেওয়ার সাথে সাথে পালিয়ে গেছে পাশ্ববর্তী বাড়ীর মেলান্দহ উপজেলার প্রথমিক শিক্ষা কর্মকতা মাজেদুল ইসলাম। আকলিমার কুলে জম্ম নেওয়া এ বাচ্চার পিতার খুজেঁ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে বাচ্চার জম্ম দেওয়া আকলিমা জানায়
গত দুই মাস যাবৎ পিঙ্গল হাটি গ্রামের রুকনুজ্জামান সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ে হওয়ার পর থেকে আমার পেটে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করলে প্রথম রোজার দিন স্বামী রুকনুজ্জামান তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে, সে জানতে পারে তার গর্ভে সাত মাসের বাচ্চা রয়েছে। পরে স্বামী রোকন, শুশুর বাড়ীর লোকজনকে ডেকে, তাকে রঘুনাথপুর বাবার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন।

গ্রামের বাড়ীতে এসে সে একটি জীবিত কন্যা সন্তানের জম্ম দেয়। দীর্ঘ ২ ঘন্টা পর বাচ্চাটি মারা যায়। বাচ্চা জম্ম নেওয়ার নানা নাটকীয় ঘটনার জম্ম হয়। পরে স্থানীয় মাতাব্বরা এ বাচ্চা সম্পর্কে জানতে চাইলে তার কথা শুনে, এলাকায় চরম উত্তেজিত হয়ে উঠে। এলাকাবাসী মাজেদুল বিচারের দাবীতে জুতা মিছিল করেছে। জ্বিগাসায় আকলিমা জানায় বিয়ে হওয়ার আগে সে একই গ্রামের পারর্শবর্তী বাড়ীর মোতালেব মাষ্টারের ছোট ছেলে, মেলান্দহ উপজেলার প্রথমিক শিক্ষা কর্মকতার মাজেদুল ইসলামের বাড়ীতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো । সে তাকে প্রথম দিন রান্না ঘরে এবং পরে বিভিন্ন সময় সময় বিভিন্ন ভাবে শারিরীক নির্যাতন করতে থাকে, এবং কাউকে বললে মেরে ফেলার ভয় দেখাতো। এভাবে শতাধিক বার নির্যাতনের শিকার হয় মেয়েটি।

এ ঘটনা সম্পর্কে স্থানীরা জানায়, মেয়েটির বিয়ের আগে তারা এরকম ঘটনায় কানাকানি শুনেছে। যার পেক্ষিতে মাজেদুল পরিবারসহ এলাকার লোকজন মিলে তারিহড়ি করে আকলিমাকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। নির্যাতনকে ধামাচাপা দিতে, বিয়ের যোতুক হিসেবে দেওয়া ৬০ হাজার টাকার বেশির ভাগ বহন করে মাজেদুল পরিবার। তাদের দাবী দেশে যখন নুসরাত বিচার বিদ্যমান, তখন একই ভাবে নিজেকে বিচারের আওতা থেকে বাচানোর জন্য ধর্ষক মাজেদুল বিভিন্ন পন্থার আশ্রয় নিচ্ছে।

এ ঘটনার সম্পর্কে আকলিমার স্বামী রোকন জানান, রঘুনাথপুর গ্রাম বাসী আমাকে ঠকিয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেলান্দহ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতা মাজেদুল ঘটনাটি সম্পর্কে প্রতিবেদকে জানান- আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য এ নাটকের তৈরি করা হয়েছে।

উক্ত ঘটনায় শরিফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আলম ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মাজেদুল বাড়ীতে কয়েক দফায় যায় বলে স্থানীয়রা জানান। এ বিষয়ে তার মুঠোফোন ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। অপর দিকে এ ঘটনায় জামালপুর সদর জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রভাবশালী মাজেদুল পরিবার অর্থের লোভ দেখিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ ঘটনায় আজ শনিবার জামালপুর সদর থানায় অভিযুক্ত মাজেদুলকে আসামী করে, ধর্ষনের মামলা দায়ের করা হয়েছে জানান সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ সালেমুজ্জামান।

Powered by themekiller.com