স্টাফ রিপোর্টের : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে চার যুবকের ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় পুলিশ ভুক্তভোগী মেয়েটিকে হাজিগঞ্জ থানায় নেয়। পরে মেয়েটিই বাদী হয়ে মামলা করে।
মামলা হওয়ার পর পরই হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন রনির নেতৃত্বে ওসি (তদন্ত) আব্দুর রশিদ সহ একাধিক পুলিশ ফোর্স চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে সিরাজের ছেলে আরফিন আমিনুল (২০) ও রফিকের ছেলের এমরান (২০) কে আটক করতে সক্ষম হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় মাতাব্বরদের সাথে নিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে চার যুবককে বাঁচাতে ও ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অপরাধে স্থানীয় ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়।
হাজীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন রনি জানান, বিয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোশারফ হোসেন বলেন, মামলা দায়েরের পর তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে দুপুরে একটি অনলাইন পোর্টালে হাজিগন্জ পছন্দের ধর্ষকের সঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরির বিয়ে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তার পর পরই বিষয়টি হাজীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আলমগীর হোসেন জানতে পেরে তাৎক্ষনিক আইনি পদক্ষেপ নেন।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের কারণে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী প্রতিবেশী চার যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে। অভিযুক্তদের কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ ২০ হাজার আদায় করে ওই মেয়ের নাম ব্যাংকে রাখেন স্থানীয় মাতব্বরগণ। তাদের দেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার (১১ মে) অভিযুক্তদের মধ্যে থেকে পছন্দের একজনের সাথে ওই মেয়ের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
পরে খবর প্রকাশের পর এ ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ নেয় স্থানীয় প্রশাসন। বিয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল করে মামলা দায়েরের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।