Breaking News
Home / Breaking News / কোথাও নেই মায়া!

কোথাও নেই মায়া!

ষ্টাফ রির্পোটারঃ
রাজনীতিতে বিভিন্ন সময় আলোচিত-সমালোচিত বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়েছেন। এক সময় রাজপথের এ দাপুটে নেতা অনেকটা অভিমান করে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি নিজ বাসভবনেই পরিবারের সদস্যদের সময় দিচ্ছেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন মায়া চৌধুরী। বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনায় যুক্ত থাকায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হন রাজপথের এ লড়াকু নেতা। মনোনয়ন বঞ্চিত হবার পর থেকেই রাজনীতির অন্দর মহলে চলে যান তিনি। মাঝে-মধ্যে দলের ছিটেফোঁটা সাংগঠনিক কার্যক্রমে দেখা মিললেও বড় ধরনের কর্মসূচিতে এখন আর আগের মত সময় দেননা। আওয়ামী লীগ সরকারের দু‘ মেয়াদে মন্ত্রীসভার সদস্য থাকাবস্থায় নিজের ছেলেদের দুস্কর্মে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে ছিটকে পড়েন মায়া চৌধুরী। এছাড়াও গত মেয়াদে দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থাকাবস্থায় বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ উঠে মায়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে। নিজের দুই ছেলের নিয়ন্ত্রণে ছিল এ মন্ত্রণালয়টি। বিশেষকরে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি (কাবিখা) এবং টাকার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি (টাবিটা) কার্যক্রমে বড় ধরনের দুনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। দুই ছেলের পাশাপাশি চাঁদপুরের আলেঅচিত এক চেয়ারম্যানের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা দুনীীতর গুঞ্জনও রয়েছে মায়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন না পেয়ে শুরুতে বিক্ষুব্দ থাকলেও পরবর্তীতে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার আম্বাসে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। অংশ নেন দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে। একাধিক সূত্র জানায়, এক সময় মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে মায়া চৌধুরীর একচ্ছত্র আধিপত্য থাকলেও বর্তমানে তা ছিটেফোঁটাও নেই। এদিকে, নিজ নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুরের মতলবেও তেমন একটা যান না তিনি। এলাকার লোকজন তার সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করতে আসলেও মায়া চৌধুরীর সাক্ষাৎ পাননা তারা। এমন বাস্তবতায় নিজ নির্বাচনী এলাকার মানুষজনও তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এদিকে, এক সময়ের রাজনৈতিক সহকর্মীরাও দুরে সরে যাচ্ছেন দিনকে দিন।

Powered by themekiller.com