এইচ এম ফারুক চাঁদপুর ::
চাঁদপুরে মতলবের মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটার উৎসব। ফলনও এবার মোটামুটি ভালো। তবে ধানের দাম নিয়ে অখুশি কৃষক। বর্তমানে বোরো ধান বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকা মণ দরে। অথচ এক কেজি গরুর মাংসের দাম ৫৫০ টাকা।
শুক্রবার উপজেলার সদর গ্রামের ঘনিয়ারপাড়, দুলাল কান্দি, তালতলী ২০ জন কৃষক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ধানের দাম কমে যাওয়ার বিষয়টি জানা যায়। সেচ প্রকল্পে এলাকায় চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ১শ ‘৩০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়।
তবে সেচ প্রকল্পে বোরে ধানে ব্লাস্টে আক্রান্ত হয়ে ফসলের কিছু ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে উপজেলায় কৃষি অফিসার সালাউদ্দিন বলেন, ব্লাস্টে রোগে কিছু জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মিটুরকান্দি এলাকার কৃষক রহমান বলেন, ৬০ শতক জমির ধান কাটতে শ্রমিককে দিতে হয়েছে ৫ হাজার ৫০০ টাকা। সঙ্গে দুপুরের খাবার। এর আগে ধান চাষ ও সার বাবদ প্রায় ১১ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ ধান বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা মণ। তাতে ৩২ মণ ধান বিক্রি করে পাওয়া যাবে প্রায় ১৮ হাজার টাকা। যোগ-বিয়োগ করলে কিছুই লাভ হয় না জানিয়ে তিনি বলেন, লাভ একটাই, একসঙ্গে কিছু টাকা পাওয়া যায়।
রশিদ মোল্লা নামের একজন কৃষক বলেন, কৃষকেরা ধান বিক্রি করতে গেলে দাম পান না। কিন্তু কিনতে গেলে দাম চড়া। গরু বিক্রি করতে গেলে দাম কমে যায়। অথচ এখন এক মণ ধান বিক্রি করে পাওয়া যায় এক কেজি গরুর মাংস।
একই ধরনের কথা বলেন আরও ১০ জন কৃষক।
ছেংগারচর বাজারের দুজন মাংস ব্যবসায়ী বলেন, ধান কাটার শ্রমিকদের দুপুরে খাওয়াতে হয় বলে এ সময়ে গরুর গোশতের চাহিদা বাড়ে। এ ছাড়া গরুর দাম বেশি হওয়ায় এখন মাংসও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছ।