Breaking News
Home / Breaking News / ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে বালু উত্তোলন?

ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে বালু উত্তোলন?

ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে বালু উত্তোলন। দেখার জন্য অনেকে থাকলেও বাস্তবে ভিন্ন। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সভা সেমিনারে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করলেও বাস্তবে তাদেরকে সরেজমিনে কোথাও কাজ করতে দেখা যায় না। এমনকি মুটো ফোনে বালু উত্তোলনের বিষয়ে অবহিত করলে ও আইন বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করতে দেখা যায় না। তাহলে এ আইন কি শুধু কাগজ কলমে সিমাবদ্ধ? আইনে আছেবালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ বিধি ৪ এর ‘খ’ তে বলা হয়েছে, সেতু কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাধঁ, সড়ক, মহাসড়ক, বন. রেল লাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা হইলে, অথবা আবাসিক এলাকা থেকে এক কিলোমিটার হইলে বা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কতৃক নির্ধারিত সীমানার মধ্যে হইলে এবং গ, তে বলা হয়েছে, বালু বা মাটি উত্তোলন বা বিপণনের উদ্দেশ্যে ড্রেজিংয়ের ফলে কোনো নদীর তীর ভাঙ্গনের শিকার হইতে পারে এরুপ ক্ষেত্রে বালু বা মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শাস্তির বিষয়ে বিধি ১৫ এক এ বলা হয়েছে, এই আইনের ধারা ৪ এ বর্ণিত কতিপয় ক্ষেত্রে বালু বা মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বিধানসহ অন্য কোন বিধান কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অমান্য করিলে বা এই আইন বা অন্য কোনো বিধান লংঘন করিয়া অথবা বালু বা মাটি উত্তোলনের জন্য বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কতৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করিলে সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ব্যক্তিবর্গ (এক্সকিউটিভ বডি) বা তাহাদের সহায়তাকারী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ অনূর্ধ্ব ২ (দুই ) বৎসর কারাদণ্ড সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা হইতে ১০(দশ) লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
কিন্তু বালু উত্তেলনের ক্ষেত্রে বালু ব্যবস্থাপনা আইন না মেনেই অবাধে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নবী উল্যার পুত্র রাজু আইন অমান্য করে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে।

Powered by themekiller.com