মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পেন্টাগনকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে নিজের লেখা নতুন বইয়ে চাঞ্চল্যকর প্রকাশ করেছেন ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশ করা বিখ্যাত সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে উপর লেখা ‘ফেয়ার: ট্রাম্প ইন দ্যা হোয়াইট হাউজ’ বইটিতে এমন আরো কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরে তিনি।
ওই বইতে উল্লেখ করা হয়, প্রেসিডেন্ট আসাদকে হত্যার নির্দেশ দিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিসকে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাকে (আসাদ) হত্যা করো, তাদের অনেককে হত্যা করো।
অবশ্য এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে দেননি বলে স্বীকার করেছেন ম্যাটিস।
ম্যাটিসের বরাতে ওই বইটিতে দাবি করা হয়, পররাষ্ট্রনীতিতে ট্রাম্প ১০/১১ বছরের বালকের মত আচরণ করতেন।
তবে এ বই জনগণের বিরুদ্ধে বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এক টুইট বার্তায় একে ‘দু:খজনক এবং কাল্পনিক’ বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।
এরই মধ্যে বইটি সারাবিশ্বে রীতিমতো ঝড় তুলে দিয়েছে।
ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজ নিয়ে লেখা বইটিতে বলা হয়, দেশকে নিরাপদ রাখতে ট্রাম্পের ডেস্ক থেকে বেশ কিছু ডকুমেন্ট চুরি করেছেন তারই সহযোগীরা। এসব ডকুমেন্ট ছিল বাণিজ্য চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার বেশ কিছু দলিল।
এমন কি ট্রাম্পের বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন সহযোগী তাকে ‘ইডিয়ট’ ও ‘মিথ্যাবাদী’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন সব অভিযোগ অস্বীকার করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বইটির সমালোচনা করে বলেন, বইটি ইতিমধ্যে মিথ্যা এবং মিথ্যা সূত্রের জন্য নিন্দা কুড়িয়েছে। তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্প বলেন, ‘এটি আরেকটা বাজে বই’ এবং বব উডওয়ার্ড এর বিশ্বাসযোগ্যতার অনেক অভাব রয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস ও চিফ অব স্টাফ জন কেলি প্রেসিডেন্টকে নিয়ে ওই বইয়ের সমালোচনার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ম্যাটিস বলেন, বইটিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আমার নামে যে কোটেশন ব্যবহার করা হয়েছে তা কখনো আমার না এবং আমার উপস্থিতিতে হয়নি।
জন কেলি বলেন, প্রেসিডেন্টকে ‘ইডিয়ট’ বলার যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে তা মোটেও সত্য নয়। প্রেসিডেন্ট জানেন, আমার অবস্থান এবং আমরা উভয়ই জানি এই গল্প সম্পূর্ণ মিথ্যা।
ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি উন্মোচনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনকে পদত্যাগে ভূমিকা পালন করেছিলেন এই বইটির লেখক সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড। তার সাথে ছিলেন ওয়াশিংটন পোস্টের আরেক সাংবাদিক কার্ল বার্নস্টেইন।