আনোয়ার হোসেন কাজলঃ
প্রতিবছরের ন্যায় এবারো ২৮ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গ্লোবাল ক্লাসরুম ইন্টারন্যাশনাল মডেল ইউনাইটেড নেশনস প্রোগ্রাম বা জিসিআইমুন। এটি মূলত: জাতিসংঘের অধীনে একটি শিক্ষা বিষয়ক ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম। বাংলাদেশ থেকে এই প্রথম জিসিআইমুনে মিড-লেভেল স্কুল থেকে অংশগ্রহন করবে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী স্বস্তিকা গার্গী চক্রবর্তী।
‘জাতিসংঘে যাচ্ছ। কেমন লাগছে?’ উচ্ছ্বসিত গার্গী বলেন, ‘আমি খুব খুশি। দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে আমেরিকায় যাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিরাট অর্জন। সম্মানের বিষয়। আশা করছি ভালো কিছুই হবে।’
সুপ্রিয় কুমার চক্রবর্তী এবং অনূসুয়া চক্রবর্তীর একমাত্র মেয়ে স্বস্তিকা গার্গী পড়ছে গ্রেড ফাইভে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ইংলিশ মিডিয়াম সেকশনে।
জাতিসংঘের ১৫তম এই সম্মেলনে বিশ্বের ২৮টি দেশের ৫০ হাজার হাইস্কুল এবং ২৫০ প্রাইমারি স্কুল থেকে প্রায় ৪ হাজার তরুণ নেতা জিসিআইমুনে অংশগহন করার দুর্লভ সুযোগ পেয়েছেন। তারা একে অপরের কাছে নিজেদের ভাবনা তুলে ধরবেন।
২৮ মার্চ তারুণ্যের শক্তি নিয়ে পৃথিবী বদলানের প্রত্যয়ে তরুণরা হাজির হবেন বিশ্বে ব্যাপক সুনাম অর্জন করা এ শিক্ষা সম্মেলনে। আমেরিকার নিউইয়র্কে প্রতিবছর দু‘বার এ প্রোগ্রামের আয়োজন করে জাতিসংঘ।
গার্গী বলেন, ‘এই শিক্ষা সম্মেলনের সবকিছুতেই জাতিসংঘ সম্মেলনের মতো কায়দাকানুন। যা আমার ক্যারিয়ার গড়তে দারুন কাজে দেবে বলে বিশ্বাস করি। কোনো বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা, নিজের দেশের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা, বিতর্ক করা…সবই এখানে করতে হবে। এসবের মধ্য দিয়েই আমার ভবিষ্যতে রাষ্ট্রদূত হওয়ার যে স্বপ্ন তা বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। এটা আমার স্বপ্নের ক্যারিয়ার গড়তে অনেকখানি সহায়তা করবে।’
সম্মেলনে গার্গী তার জন্য নির্ধারিত ক্যারিবীয় সাগরের হিস্পানিওলা দ্বীপের পশ্চিমে এক-তৃতীয়াংশ এলাকা নিয়ে গঠিত রাষ্ঠ্র হাইতি’র হয়ে কথা বলবেন। দেশটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনায় মিলিত হবেন তিনি। আর এ জন্য তাকে প্রচুর পড়তে হয়েছে। হাইতির সমাজব্যবস্থা, চিকিৎসাব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থা, বিদেশনীতি, রাজনীতি, অর্থনীতি- সব বিষয়েই জানতে হয়েছে।