কক্সবাজারের টেকনাফের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে আঠাশ পরিবারের ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বুধবার ভোররাতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকূল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান টেকনাফ থানার ওসি রণজিত কুমার বড়ুয়া।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি রণজিত বড়ুয়া জানান, বুধবার ভোর রাতে টেকনাফের চাকমারকূল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি ঘরে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অসাবধানতাবশত আগুন লেগে যায়। এতে পলিথিনি, বাঁশ ও গাছের খুঁটির ঝুপড়ি ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
টেকনাফের হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীপঙ্কর কর্মকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, ১৪টি ঘরে বসবাসরত ২৮টি পরিবারের প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে পরিধেয় বস্ত্র ও ত্রাণের খাদ্যদ্রব্য পুঁড়ে গেছে।
অগ্নিকাণ্ডে ১৪ টি ঝুপড়ী ঘরে বসবাসকারি ২৮ টি রোহিঙ্গা পরিবারের বসতি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে বলে জানান ওসি।
ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্টরা ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান রণজিত।
ওসি বলেন- পুড়ে যাওয়া ওই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাছ থেকে সোমবার সকালে গলাকাটা রক্তাক্ত অবস্থায় তিন রোহিঙ্গা যুবককে উদ্ধার করেছিল পুলিশ।