Breaking News
Home / Breaking News / সাইপ্রাসে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত রিপনের মরদেহ দেশে ফিরেছে

সাইপ্রাসে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত রিপনের মরদেহ দেশে ফিরেছে

এম ওসমান, বেনাপোল : যশোরে ঝিকরগাছা উপজেলার বড়পোদাউলিয়া গ্রামের রিপন হোসেন সাইপ্রাসে নিহত হওয়ার এক সপ্তাহ পরে তার মরদেহ দেশে পরিবারের কাছে ফিরে এসেছে। শুক্রবার সকালে ঢাকা বিমান বন্দরে নিহতের পরিবারের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করে সাইপ্রাস সরকার।
দুপুরে নিহত রিপন হোসেনের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি বড় পোদাউলিয়া গ্রামে পৌছালে আগে থেকে অপেক্ষারত উৎসুখ গ্রামবাসি এক নজর দেখার জন্য ছুটে আসে এবং রিপনের নিথর মুখ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরিবার ও এলাকাবাসীর মুহুমুহু কান্নায় মুহুর্তের মধ্যে ভারী হয়ে যায় পরিবেশ ও আকাশ বাতাস। এক অন্য রকম হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির মধ্যে বাক শক্তি হারিয়ে ফেলেন রিপনের মা বাব আত্মীয় স্বজন সহ কাছের মানুষেরা। কান্না শুরু হলে আর থামে না। ছেলের মুখ দেখতে দেখতে কয়েকবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন মমতাময়ী জনম দুখিনি মা। শুক্রবার আছর বাদ জানাযা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ্যঃ পরিবারের সুখের আশায় গত ৩০শে জানুয়ারী পাড়ি দিয়েছিলো সাইপ্রাস প্রদেশে। একটি ভালো কম্পানিতে কাজও জুটেছিলো। কিন্তু হাই ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস একটি সড়ক দূর্ঘটনা কেড়ে নিলো পরিবারের সমস্ত আশা ভরসার একমাত্র অবলম্বন টুকুও। সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলো ভাগ্যের কাছে হার মানা রিপন হোসেনের (২৮) স্বপ্ন। রিপন হোসেন যশোরে ঝিকরগাছা উপজেলার বড়পোদাউলিয়া গ্রামের শাহজান মোড়লের ছেলে।
মাত্র ৯দিনের ব্যবধানে লাশ হয় রিপন। সাইপ্রাসে রাতে খাওয়ার পরে সে ও তার সংগী সাইফুলকে নিয়ে দুইজন বাইরে বের হয়, রাস্তা দিয়ে হাটার সমায় পিছোন দিক থেকে এক ঘাতক গাড়ি তাদের স্বজরে ধাক্কা দিলে ঘটনা স্থলে সাইফুল মারা যায়।
রিপন তখনও মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকে। স্থানীয় পুলিশ তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে রিপন হোসেনও শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে। এমন হৃদয় বিদারক মৃত্যুর খবর দেশে পরিবারের কাছে পৌছালে পরিবারের আর্তনাদ আর আহাজারীতে এলাকা ভারী হয়ে ওঠে। নির্বাক হয়ে পড়েন বাবা শোকে মুর্ছা যান মা। এলাকা জুড়ে চলে শোকের মাতম। মৃত্যুকালে রিপন হোসেন এক ছেলে, স্ত্রী ও পরিবারে মা বাবাসহ রেখে গেছেন অসংখ্য স্মৃতি।

Powered by themekiller.com