বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।
আজ বিকেলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন জনবি্চ্ছিন্ন সরকারের পতন চায় ্ দেশের তরুণ সমাজ । তরুণরাও সরকারের পতন চায়।
সরকারের উদ্দেশ্যে ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনসহ গ্রেফতার হওয়া দলের নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিবে হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সকল রাজনৈতিক দলের জন্য সমতল মাঠ প্রস্তুত করতে হবে। আর নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।
নেতাকর্মীদের বিপুল উপস্থিতি, সমাবেশ ছাড়িয়েছে সীমানা:
নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীদের বিপুল উপস্থিতি হওয়ায় নির্দিষ্ট এলাকায় সমাবেশ সীমাবদ্ধ নেই। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সীমানা ছাড়িয়ে সমাবেশ ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশের এলাকায়। সেখানে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছেন উৎসবমুখর পরিবেশে। কেউ কেউ ব্যান্ড বাজাচ্ছেন, দলীয় সঙ্গীত গাইছেন।
আবার কোথাও কোথাও থেমে থেমে স্লোগান দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। সকাল থেকেই মিছিলে মিছিলে সমাবেশে স্থালে যোগ দিয়েছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। সমাবেশ শুরুর আগে দুপুর ১২টার মধ্যেই সমাবেশ স্থল কানায় কানায় ভরপুর হয়ে গেছে। ১২টার পর থেকে আশপাশের এলাকায় জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা।
বেলা আড়াইটার দিকে নয়াপল্টন ও তার আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কাকরাইল মোড় থেকে শান্তিনগর এলাকা, পুরানা পল্টন, ফকিরেরপুল মোড় থেকে মতিঝিল এলাকা, দৈনিক বাংলা মোড়, বিজয়নগর এলাকা, সেগুনবাগিচা এলাকা, রাজারবাগ এলাকাতেও নেতাকর্মীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপি এই সমাবেশ করছে। এদিকে নেতাকর্মীদের চাপের কারণে আশেপাশের সব রাস্তায় আড়াইটার পর যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সমাবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতেই এ ধরনের সতর্কতা বলে জানিয়েছে পুলিশ। দুপুর ২টা থেকে হঠাৎ করেই রাজধানীর পল্টন এলাকার মোড়ে মোড়ে পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। সেইসঙ্গে চোখে পড়েছে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যদেরও।