অভিজিত রায়॥ হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বিদ্যা অর্চনায় দেবী সরস্বতীর পূজা আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি। বাকি মাত্র ৩ দিন। মন্দিরগুলোতে চলছে সরস্বতী প্রতিমা তৈরির কাজ। পাড়া মহল্লায় যুবকরা তাদের স্ব স্ব সংঘ থেকে পূজা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি মন্দির ও গোপাল জিউর আখড়া মন্দিরে ফরিদপুর থেকে আগত গোবিন্দ পাল ও জীবন পালের লোকজন সরস্বতী প্রতিমা তৈরি শেষে রংতুলির আঁচরে প্রতিমাকে সাজিয়ে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে।
শিল্পীরা প্রথমে কাঠ, বাশ ও খড়কুটা দিয়ে সরস্বতী প্রতিমার অবয়ব তৈরি করে এর উপর আঠালো মাটির প্রলেপ দিয়ে মূর্তি তৈরি করেছে। এখন শুকানোর পর ওই প্রতিমাকে শিল্পীরা ফুটিয়ে তুলতে নির্ঘূম রাত কাটাচ্ছে।
তারা খেড়ের বেনার মধ্যে কাদা কাটির প্রলেপ দিয়ে সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করছে। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি হিন্দু সম্প্রদায়ের বিদ্যা অর্চনায় দেবী সরস্বতীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সেই লক্ষ্যে পুজার আয়োজকদের দেখানো ডিজাইন অনুযায়ী ও শিল্পীদের মনের মাধুরীতে প্রতিমা তৈরির জন্যই তারা শহরের গোপাল জিউর আখড়া, কালী বাড়ি মন্দির, পুরাণবাজার হরিসভা মন্দিরে এই প্রতিমা তৈরির কাজ ৭০ ভাগ প্রতিমার কাজ সম্পন্ন করেছে। ইতিমধ্যে এরা প্রায় ৩ শতাধিকের মতো প্রতিমা তৈরি করেছে।
এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজা উদ্যাপনের লক্ষে মৃৎ শিল্পীরা ছোট ও মাঝারি আকারের তাদের মনের মতোকরে স্বল্প পয়সার প্রতিমা তৈরি করছে।
সরস্বতী পূজাটি সবচেয়ে বেশি আয়োজন করে থাকে শিক্ষার্থীরা। পাড়া মহল্লায় যুবকরা তাদের বিভিন্ন সংঘের নাম দিয়ে পূজার আয়োজন করেছে। এখন তারা চাঁদপুর ও অন্যান্য জেলা থেকে ডেকোরেটর ও আলোকসজ্জার সরঞ্জাম ভাড়া করে এনে প্যান্ডেল তৈরি করছে। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টায় হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সকল সংঘের প্রতিমা জড়ো করে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হবে বলে চাঁদপুর সদর থানা পূজা উদ্যাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ জানিয়েছে।