Breaking News
Home / Breaking News / অবশেষে গেজেট পাশ হল এমপিও নীতিমালা-২০১৮

অবশেষে গেজেট পাশ হল এমপিও নীতিমালা-২০১৮

অনলাইন ডেস্ক : বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
গত ১২ জুন স্বাক্ষরিত নীতিমলাটি আজ (বৃহস্পতিবার) প্রকাশ করা হয়। এতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগে বয়সসীমা ৩৫ বছর রাখা হয়।

মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (মাধ্যমিক) সালমা জাহান বলেন, ঈদের পর এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে। তারপর তা নীতিমালা অনুযায়ী কাম্য যোগ্যতা যাচাই-বাছাই করে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা হবে।

জারি করা নীতিমালায় বলা হয়েছে, ৩৫ বছরের অধিক বয়সী কেউ এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন না। পাশাপাশি শিক্ষকদের অবসরের বয়স হবে ৬০ বছর। ৬০ বছর পূর্ণ করা কাউকে প্রতিষ্ঠান প্রধান, সহকারী প্রধান বা সাধারণ শিক্ষক পদে পুনঃনিয়োগ বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা যাবে না।

নীতিমালায় শিক্ষকের এমপিওভুক্তির জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা, নিয়োগে স্বচ্ছতা, নিয়োগের প্রাথমিক বয়স, অবসরের বয়সসীমাসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হওয়ারও শর্ত রয়েছে। আর প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হলে শিক্ষকও এমপিওর জন্য বিবেচিত হবেন না, এমন বিধান রাখা হয়েছে।

নীতিমালায় বলা হয়, সরকার প্রয়োজনে বদলির ব্যবস্থা করতে পারবে। এক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক অন্য প্রতিষ্ঠানে সমান বা উচ্চতর পদে আবেদন করতে পারবেন। কর্মরত প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি নিলে তিনি বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে গণ্য হবেন। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ চাকরি ত্যাগ করেন তাহলে সর্বোচ্চ দুই বছর তার ইনডেক্স (বেতন পাওয়ার কোড) নম্বর বহাল থাকবে। এর অধিক হলে তা চাকরি বিরতি হিসেবে গণ্য হবে।

ইনডেক্স নম্বর বা নিবন্ধন সনদ ছাড়া কাউকে নিয়োগ দেয়া যাবে না। নিয়োগে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এ’র মেধাক্রম/মনোনয়ন/নির্বাচন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে নীতিমালায়।

নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাজীবনে শুধু একটি তৃতীয় বিভাগ/সমমান গ্রহণযোগ্য হবে। এ নীতিমালা জারির পর কেউ যদি বকেয়া প্রাপ্য হন, সে ক্ষেত্রে তা পরিশোধ করা হবে না।

Powered by themekiller.com