Breaking News
Home / Breaking News / ১৪ দলের শরীকরা যাবে ঐক্যফ্রন্টে?

১৪ দলের শরীকরা যাবে ঐক্যফ্রন্টে?

ষ্টাফ রির্পোটারঃ

বিএনপি থেকে আলাদা হয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে চায়। গতকাল বিকেলে বিএনপি ছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাদের ঐক্যের সীমা বাড়াতে চায়। ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে সংলাপের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ‘ন্যূনতম ইস্যুতে বৃহত্তর ঐক্য’ গড়ে তুলতে চায়। এ লক্ষ্যে তারা বাম গণতান্ত্রিক মোর্চা, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের কয়েকটি দলকে নিয়ে একটি বৃহত্তর প্লাটফরম গড়তে চায়। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা আ. স. ম. আবদুর রব বলেছেন, ’৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। সেই দাবিতে আমরা সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাই।’

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেছেন, ‘জামাত এবং ধর্মান্ধ মৌলবাদী রাজনৈতিক দলগুলোকে বাদ দিয়ে আমরা প্রগতিশীল সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ শুরু করেছি। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই আমরা ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে সংলাপ শুরু করবো।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐক্যফ্রন্টের একজন নেতা বলেছেন, ‘আমরাও এই মুহূর্তে ঐক্যফ্রন্টে বিএনপিকে চাই না। বরং গণতান্ত্রিক এবং প্রগতিশীল দলগুলোকে নিয়ে আমরা ধীরে ধীরে জনমত গড়ে তুলতে চাই।’ ঐ নেতা বলেন, এখন হুটহাট আন্দোলন করে লাভ নেই। সরকার অনেক শক্তিশালী। জনগণও আন্দোলনমুখী নয়।’

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনে করছে, পর্যায়ক্রমে বামমোর্চা, ১৪ দলের আওয়ামী লীগ বাদে দলগুলোকে নিয়ে ইস্যুভিত্তিক মোর্চা গঠন করা যেতে পারে। ১৪ দলের শরীক একটি রাজনৈতিক দলের একজন শীর্ষনেতা বলছেন, ‘আওয়ামী লীগ বদলে যাচ্ছে। শরীকদের নিয়ে নির্বাচন করে এখন বলছে বিরোধী দলে থাকতে। তিনি বলেন, ‘আমরা তো নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছি। এখন সংসদে আমরা বিরোধী দল হবো কিভাবে? সংসদে ট্রেজারী বেঞ্চের বিরুদ্ধে ভোট দিলেই তো আমাদের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে।’ ১৪ দলের ওই প্রভাবশালী নেতা বলছেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের দম্ভ বেড়েছে। যা খুশী তাই বলছে। ১৪ দলকে নূন্যতম সম্মান দেখানোর সৌজন্যতা নেই তাঁদের। তিনি বলেন, ‘তাছাড়া আওয়ামী লীগ হেফাজতসহ সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। আল্লামা শফীদের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তাছাড়াও বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের সঙ্গে সরকারের নীতিগত মতপার্থক্য হবে। যেমন- বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিসহ নানা জন ইস্যুতে আমরা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলবো। আর এই কথা বলার জন্য বাম মোর্চা এবং ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আমাদের ইস্যু ভিত্তিক সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। অন্যদিকে বাম গণতান্ত্রিক মোর্চার একজন নেতা বলেছেন, ‘ডঃ কামাল হোসেনরা যদি বিএনপি জামাত থেকে আলাদা হন এবং বামপন্থী দলগুলোর সঙ্গে একাত্ম হন, তাহলে আমাদের ঐক্য হতেই পারে।’ তবে একাধিক বাম নেতা বলেছেন, ‘শুধু নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে এক ফ্ল্যাটফর্মে কাজ করা সম্ভব।’ ইতিমধ্যে বাম এবং ১৪ দলের কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করছে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। তবে তাঁরা বলছেন, চটজলদি নয়, প্রক্রিয়াগুলো দীর্ঘ সময়সাপেক্ষ।

Powered by themekiller.com