মফিজুল ইসলাম বাবুল : ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’’ এ কথাটি যেমন সত্যি ঠিক তেমনি আমাদের সমাজে কিছু অসহায় মানুষ আছে যাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সমাজের কিছু বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদেরও একান্ত কর্তব্য। এক বা একাধিক ব্যক্তির আর্থিক সহযোগিতায় ফিরে পেতে পারে একজন মানুষের নতুন ভাবে বাঁচার অবলম্বন। ফিরে পেতে পারে তার জীবনের মধ্য থেকে হারিয়ে যাওয়া সুখ গুলো।মুছে যেতে পারে তার জীবনের সকল বেদনার দিন গুলো।
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৮নং কাদলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের অধিবাসি ছিদ্দিকুর রহমান (৬৮) নামে এক ব্যাক্তি ঝুঁকিপূর্ণ জীবন নিয়ে কোনো রকমে খেয়ে পড়ে বেঁচে আছে কিন্তু থাকার মত যে ঘরের প্রয়োজন সেটাই তার নেই।ছোট্ট একটি কুটির ঘরে তার বসবাস।যে ঘরে মাত্র ২/৩ জন মানুষ থাকাটা কষ্টকর,সেই ঘরে তার পরিবারের ৮/৯ সদস্য বসবাস করে। সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি তিনি।শারীরিক অবস্থাও তার তেমন ভাল নেই।তাই মাঠে-ঘাটে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারেনা সে।কোনো রকমে স্থানীয় কিছু পত্রিকা ও মানুষের দান-খয়রাতে বেঁচে আছে তার এবং তার পরিবারের জীবন। তার ৫টি মেয়ে রয়েছে। অনেক কষ্ট করে এবং বিভিন্ন মানুষের কাছে হাত পেতে বড় মেয়ের বিবাহ সম্পন্ন করেছে।বাকি ৪ মেয়ের মধ্যে ২ মেয়ে বিবাহের জন্য উপযুক্ত, কিন্তু ঘর না থাকায় উপযুক্ত হওয়ার পরও কোনো মেয়েকে বিবাহ দিতে পারছেনা ছিদ্দিক।
ছিদ্দিকুর রহমান বলেন-বয়সের ভাঁড়ে এখন তেমন কোনো কাজ করতে পারিনা। দিন-দিন আমার অবস্থা অবনতি হয়ে যাচ্ছে।আমার কোন ছেলে নেই। ৫ মেয়ে আর স্ত্রী নিয়েই আমার সংসার। আমি চাঁদপুরের কিছু স্থানীয় পত্রিকা ও সাংবাদিকদের কিছু আর্থিক সহযোগিতায় কোনো রকমে জীবন চালাচ্ছি।কিন্তু আমার ঘর না থাকায় জীবনটা অনেক কষ্টে কাটতেছে।যে টাকা উপার্জন করি সে টাকা দিয়ে সংসারই চালাইতে পারিনা,ঘর করবো কিভাবে?আমি সমাজের সকলের কাছে আমার একটি ঘর তৈরি করার জন্য আর্থিক ভাবে সহযোগিতা কামনা করি।
ছিদ্দিকুর রহমান তার সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে সুন্দর ও সাবলিল ভাবে বেঁচে থাকার জন্য সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
যোগাযোগঃ ছিদ্দিকুর রহমান- ০১৮৩৯-৮৭১৭১২