এইচ এম ফারুক::
চাঁদপুরের মতলবে খেয়া পারাপারের জন্য জনপ্রতি ভাড়া ৫ টাকা, সেই সাথে বাইতে হবে বৈঠা! এমনই চিত্র গত একমাস যাবৎ দেখা যাচ্ছে ধনাগোধা নদী পার হতে চাওয়া মতলব খেয়া ঘাটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলাকে বিভক্ত করা ধনাগোদা নদী পারাপারের জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসে মতলব খেয়া ঘাটে। মতলব সেতু চালু হওয়ার পরও নদী পারাপারের ক্ষেত্রে দুই উপজেলার লোকজন চলাচলের জন্য এই খেয়া ঘাট। কিন্তু গত কয়েক মাস যাবৎ ধনাগোদা নদীতে কচুরীপানার জটের কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে নৌকার মাঝি ও খেয়া পারাপারের যাত্রীরা। কচুরীপানার জটের কারণে নদী পার হতে মাঝির সাথে সাথে বৈঠা চালাতে হয় অন্যান্য যাত্রীদের। এতে খেয়া পারাপারে যাত্রী সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে অনেক খানি।
স্থানীয়রা জানান, নদী পার হতে আগে ৫-৬ মিনিট সময় লাগতো। এখন আধা ঘন্টা, আবার কচুরীপানার জট বৃদ্ধি পেলে এক-দেড় ঘন্টাও লাগে নদী পার হতে। সেই সাথে বেড়েছে নদী পারাপারের খরচ।
এক বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক নজরুল বলেন, আগে জনপ্রতি ২ টাকা ভাড়ায় প্রতি নৌকায় ১৫ জন পার হত এবং ঘাটের ইজারাদার নেয় ২/৩ টাকা। কিন্তু এখন জনপ্রতি ৫ টাকা এবং নৌকায় ৮ জন যাত্রী পার হয়।
এক ছাএী নাসরিন বলেন, আগে নদী পার হতে আমাদের জনপ্রতি ৭ টাকা খরচ হয়। এছাড়া নৌকায় পুরুষ লোক না উঠলে মাঝি নৌকা ছাড়তে চান না।
মতলব বাজারের ব্যবসায়ী মামুন একটু কৌতুক করে বলেন, ‘নদীত যে কস্তুরী, টেকাও দেওন লাগে আবার বৈঠা বাওন লাগে’।