Breaking News
Home / Breaking News / কারমাইকেলে ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে নবীন বরণ ও কমিটি পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

কারমাইকেলে ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে নবীন বরণ ও কমিটি পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

ষ্টাফ রির্পোটারঃ
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কারমাইকেল কলেজ শাখার উদ্যোগে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নবীন বরণ ও ছাত্র ফ্রন্টের নতুন কমিটি পরিচিতি সভা কলেজের বাংলা মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ জানুয়ারি’১৯ সোমবার সকাল ১০ টা থেকে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকে বাংলা মঞ্চে পাদদেশে। সকাল ১১টায় নবীন র‌্যালি বের হয়ে কলেজ প্রদক্ষিণ শেষে বাংলা মঞ্চে এসে শেষ হয়। ছাত্র ফ্রন্ট কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক অসীমা লিপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কারমাইকেল কলেজের ভাস্কর্য পুনঃনির্মাণ সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক ও জেলা বাসদ(মার্কসবাদী)’র সদস্য আহসানুল আরেফিন তিতু, সংগঠনের জেলা সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন, কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান বকসি, কলেজ সভাপতি হোজায়ফা সাকওয়ান জেলিড, কলেজ সাধারণ সম্পাদক ইমরান সরকার প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে নির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। উল্লেখ্য ২৫ জানুয়ারি’১৯ অনুষ্ঠিত কাউন্সিলের মাধ্যমে কাউন্সিলে অসীমা রায় লিপিকে আহবায়ক ও জিন্নাত হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়। এর পরেই নবীন শিক্ষার্থীদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয় এবং নবীনদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। নবীন বরণ উপলক্ষ্যে গত ২৬ নভেম্বর আয়োজিত হাড়ি ভাঙ্গা, মেধা যাচাই, ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ, রশি টানাসহ বিভিন্ন খেলার পুরস্কার বিতরণী করা হয়।

নেতৃবৃন্দ নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দীর্ঘ ১২ বছরের কষ্টকর পথ অতিক্রম করে অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে কারমাইকেল কলেজে তোমদের পদার্পণ। সেই স্বপ্নকে ধারণ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট শিক্ষাকে সকল সংকট থেকে মুক্ত করা এবং মানবিক সমাজ নির্মাণের আপোষহীন সংগ্রাম করছে। কারমাইকেল কলেজে শতবর্ষ পালনের উদ্যোগ চলছে। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ অনেক অতীত গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করছে এই কলেজ। কিন্তু অতীত ছাড়া গৌরব করে বলার মত কিছুই নেই আমাদের। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের স্মৃতি বিজড়িত কারইকেল কলেজ আজ নানা সংকটে জর্জরিত। একদিকে পর্যাপ্ত ক্লাসরুম সংকট, লাইব্রেরি-সেমিনারে নতুন সিলেবাসের বইয়ের অভাব, শিক্ষকের অভাব এবং পরীক্ষাকালীন দীর্ঘ ছুটির কারণে বছরে ৮৮ দিনের বেশি ক্লাস হওয়ার সুযোগ নেই। আরেক দিকে শাসকগোষ্ঠীর উচ্চশিক্ষা ধ্বংসের আয়োজনস্বরূপ নানান পরীক্ষা নিরীক্ষার অংশ হিসেবে সৃজনশীল ক্রাশ প্রোগ্রাম চালুর ফলে কা¬সের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০/৪০ দিন অর্থাৎ গোটা শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাবার জন্য ছাত্র ফ্রন্ট উত্থাপিত ১০ দফা বাস্তবায়ন ছাড়া কোন পথ নেই। তাই নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য, উচ্চ শিক্ষাকে ধ্বংসে হাত থেকে লক্ষার জন্য তারুণ্যের তেজ নিয়ে আপোষহীন সংগ্রামে শামিল হবেন এবং নৈতিক আন্দোলনকে এগিয়ে নেবেন।

Powered by themekiller.com