ষ্টাফ রির্পোটারঃ
১. মাদক সেবন
২. পরকীয়া
৩. টাকা আত্মসাৎ: এই তিন কারনেই হত্যা করা হয়েছে মনোয়ারা বেগম (৩৭) কে।
গত ৩১/১২/১৮ খ্রিঃ তারিখে দিবাগত রাতে বাসাইল থানাধীন নথখোলা সাকিনস্থ ভিকটিম মনোয়ারা বেগম (৩৭)কে অজ্ঞাত অপরাধী/অপরাধীরা ধারালো অস্ত্র দিয়া হাতের কবজি রগ কেটে এবং জবাই করে হত্যা করিয়া চলিয়া যায়। মৃত মনোয়ারা বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী তাসলীমা খাতুন বাদী হয়ে গত ০১/০১/১৯ ইং তারিখে বাসাইল থানায় অজ্ঞাতনামা অপরাধীদের নামে বাসাইল থানার মামলা নং-০১ তাং ০১/০১/১৯ইং ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড দায়ের করেন। পুলিশ সুপার জনাব সঞ্জিত কুমার রায় এর নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ জনাব শ্যামল কুমার দত্ত পিপিএম এর নের্তৃত্বে এসআই/মোঃ আলমগীর কবির মামলাটি তদন্তভার গ্রহণ করেন। মামলাটি তদন্তকালে মামলার ঘটনার সহিত জড়িত আসামী ১। মোঃ রহিম মিয়া(২৬) পিতা-ওয়াজেদ আলী মিয়া সাং-কাশিল পশ্চিম পাড়া, থানা-বাসাইল ২। তাসলিমা খাতুন(২৮), স্বামী-মোঃ আব্দুল কাদের, সাং-আকুয়া চক পাড়া, থানা-কালিহাতী, ৩।মোঃ আল আমিন(১৯), পিতা-মোঃ ফজলুল হক, সাং-আকুরটাকুর পাড়া লেকের পাড়, থানা-সদর, সর্ব জেলা-টাঙ্গাইলদের ২৮/০১/১৯ ইং তারিখ ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ধৃত ১ নং আসামী মোঃ রহিম মিয়ার সহিত ০২ নং আসামী তাসলিমা খাতুন (অত্র মামলার বাদী) এর সহিত পরকীয়ার সর্ম্পকের জের ধরে এবং ডিসিস্ট এর নিকট হতে আসমীগণ টাকা আত্মসাৎ করে উক্ত টাকা ফেরৎ না দেওয়ার জন্য হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিবাগত রাত অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় আসামীগন মোটরসাইকেল যোগে টাঙ্গাইল শহর হইতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ডিসিস্ট মনোয়ারা বেগমের বসত বাড়ীতে যাইয়া ফিজআপের সাথে ঘুমের ঔষুধ মিশিয়ে খাওয়াইয়া দুর্বল করত ডিসিস্টের হাত-পা বাধিয়া ধারালো চাকু দিয়ে হাতের রগ কাটিয়া গলায় জবাই করিয়া হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে ২৯/০১/২০১৯ ইং তারিখ দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করিলে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় নিজেদের সম্পৃক্ত করে সেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করায় বিজ্ঞ আদালত আসামীদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। উক্ত মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই/মোঃ আলমগীর কবির সঙ্গীয় এসআই/জাহাঙ্গীর আলম, এসআই/ওবায়দুর রহমান, ডিবি, টাঙ্গাইলদের অক্লান্ত পরিশ্রমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যেমে উক্ত ক্লুলেস খুন মামলাটির মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।