এম. আর হারুনঃ
কম্বল গ্রহনকরা মানুষটি ছিলেন পেশাগত ভিক্ষুক ! ভিক্ষুক হয়ে সে জন্মায়নি ! সমাজ , পরিবেশ , পরিস্থিতি তাকে ভিক্ষুক বানিয়েছে ! সেওত মানুষ ! অন্য দশ জনের মতো সেও স্বপ্ন দেখে ৷ তার সংসার হবে ! হবে সন্তানও ! একদিন তার স্বপ্ন পূরনে এগিয়ে আসে সমাজের মোটামোটি ভিত্তশালি মাঝিগাছা গ্রামের খলিল পাটওয়ারী ৷ সেও ভাবে আর ভিক্ষা করতে হবেনা ৷ এবার বুঝি স্বপ্ন পূরনের পালা ৷ স্রী মারা যাওয়ায় ভিক্ষুক ফুলবানুকে দ্বিতীয় বিয়েকরে লম্পট খলিল পাটওয়ারী ৷ সে সংসারে জন্মনেয় কন্যা সন্তান ৷ দেখতে দেখতে দ্বিতীয় স্বপ্নটিয় পূরন হলো ফুলবানুর ! ইতি মধ্যে শুখের আশায় ভিক্ষা করার সময়ে জমিয়ে রাখা প্রায় দু’লক্ষ টাকা তুলেদেন স্বামির হাতে ৷ টাকা আত্মসাত করার পর বিয়ে পাগল খলিল পাটওয়ারী পূনরায় আবারও বিয়ে করেন ৷ আর এক কাপরে সন্তানসহ বিদায় করেদেন ফুলবানুকে ৷ নিরুপায় ফুলবানু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করে ৷ অভিযোগের প্রেক্ষিতে বারংবার নোটিশ করার পরও হাজির হয়নি লম্পট খলিল পাটওয়ারী ৷ নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি থানা পুলিশকে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করেন ৷ ফুলবানু পুলিশের মাধ্যমেও সমাদান না পেয়ে গতকাল আবাওর নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির ৷ নেয় বিচার পাওয়ার আশায় কান্নাকাটি করে নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে গুজেদেন এক হাজার টাকার একটি নোট ! তাঁর বদ্ধমূল ধারনা টাকা দিলে হয়ত বিচার পাবে ! নির্বাহী কর্মকর্তা হতদরিদ্র ফুলভানুর টাকাটা ফেরত দিলেন ! সাথে একটি কম্বলও দিলেন ৷ এবং সংস্লিষ্ট ইউপি সদস্য দ্বয়দের নির্দেশ প্রধান করেন যাতেকরে স্থানিয় ভাবে বিষয়টি সমাদান করাহয় এবং ফুলভানুকে একটি ভিজিডি কার্ড বরাদ্ধ দেয়া হয় ৷
বিদ্রঃ অপেক্ষায় থাকলাম ৷ ফুলভানু ন্যায় বিচার পাবেতো ? আমরা সমাজে আর কোন ফুলভানুর সৃষ্টি হউক তা চাইনা ৷
সংগ্রহে:
কচুয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি রাকিবুল ইসলামের লেখা