রংপুর প্রতিনিধিঃ
সুমনা আক্তার লিলি। অদম্য একটি নাম। একটি চরিত্র। যার পেশা এবং নেশা মানুষের সেবায় ছুটে চলা। মানুষকে আগলিয়ে রাখা। শিশু, কিশোর থেকে যৌবনে যিনি বেড়ে উঠেছেন প্রান্তিক মানুষের ভালোবাসায়, আস্থায়। অর্জণ করেছেন বিশ্বাস। কাছে টেনেছেন সব শ্রেণি পেশার মানুষকে।
রংপুরের তারাগঞ্জের এই মেয়েটিই এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থী। দোয়া চেয়েছেন তিনি। দোয়া চেয়েছেন তার পরিবার এবং রাজনৈতিক সহকর্মী, সহযোদ্ধারা।
জানা গেছে, কিশোর বয়স থেকেই ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া এই লিলি বর্তমান আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিভাগের উপ-কমিটির সদস্য। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক। এর আগে তিনি রংপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি এবং তারও আগে তিনি তারাগঞ্জ সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের তুখোর নেত্রী ছিলেন। যার নেতৃতে তারাগঞ্জ ছাত্রলীগ এখন সুসংগঠিত।
দক্ষ, মেধাবী, পরিচ্ছন্ন এবং তরুণদের রাজনীতির বড় আস্থার জায়গা দখল করেছেন এই মার্জিত নেত্রী। যার হাত ধরেই অনেকে ছাত্রলীগের পতাকা তলে এসেছেন।
লিলি সাংবাদিকদের জানান, রাজনীতিতে আমার কোন কৃতিত্ব নেই। বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীর ভালোবাসায়, স্নেহে আজ আমি সবার লিলি, লিলি আপু। তাঁর হাত ধরেই আমার রাজনীতির অঙ্গনে পদচারনা। তাঁর নির্দেশনাই আমাকে আলোর পথ দেখিয়েছে। আমি বঙ্গবন্ধু এবং আমার মা সমতুল্য নেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শের ছায়ায় থাকতে চাই।
আমি সংরক্ষিত আসনের এমনি হতে চাই না। আমি চাই মা সমতুল্য প্রধানমন্ত্রীর আচলে থাকতে। তাঁর ভালোবাসা পেতে। উনি আমাকে তাঁর আচলে রাখলেই আমি এলাকায় কাজ করতে পারবো। মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিজে লালন করে তা সমাজে এবং রাষ্ট্রে বাস্তবায়ন করতে পারবো।
লিলির বাবা আইয়ুব আলী জানান, আমার মেয়েটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কিছুই বোঝে না। ঢাকায় যাবার পর থেকেই সে ধীরে ধীরে আরো বেশী মানুষের সেবা করা শুরু করেছে। এলাকায় এসেই এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ছুটে চলে। দিন-রাত মানুষের সমস্যা সমাধানে কাজ করে। গ্রামের বাড়িতে এলে সে ঠিক-ঠাক খেতেও পারে না। শুধুই ছুটে চলে…।
তিনি বলেন, একটু বিশ্রামের কথা বললেও সে বলে ‘ বাবা এই মানুষগুলো আমার অপেক্ষায় থাকে। আমি ওদের পাশে না দাঁড়ালে কে দাঁড়াবে। আগে ওরা। ওদের সেবা আগে করি….‘।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার লিলির দিকে একটু নজর দিবেন এই প্রত্যাশা করছি আমরা তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জের মানুষ। স্থানীয়রা সে আশা করেন। আমার বিশ্বাস, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার মেয়ের দিকে একটু সু-নজর দিবেন।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ অঙ্গদল এবং স্থানীয়রা সবাই চান লিলি এবার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোক।