স্টাফ রিপোর্টার:
তিনি সভাস্থলে উৎসব আমেজে আসলেন নিজের পাজেরো গাড়িতে। আর মলিন মুখে সিএনজিতে চড়ে ফিরে গেলেন নিজ বাড়িতে। পেছনে ভাংচুরের ক্ষত নিয়ে রাস্তার পাশে পড়েছিলো সেই পাজেরো গাড়িটি। তার আগে গাড়িটি ভাংচুর করে আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ একটি অংশ। মঙ্গলবার সংঘর্ষের পর সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শাসছুল হক ভূইয়াকে নিয়ে এমন আলোচনাই হচ্ছিল প্রত্যক্ষদর্শী ও আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ একটি অংশের মধ্যে।
বিক্ষুব্ধ ওই অংশটির বক্তব্য, গত প্রায় ১০ বছর শামছুল হক ভূঁইয়া বিএনপি জামাতের লোকদের আশ্রয় প্রশয় দিয়েছেন। তাদের চাকুরি দিয়েছেন, পুনর্বাসিত করেছেন। দিয়েছেন নানা অবৈধ সুযোগ সুবিধা। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগের ত্যাগী লোকজনকে মামলায় ঝুলিয়েছেন। ক্ষমতার দ্বম্ভে দূরেঠেলে দিয়েছেন দীর্ঘ দিনের পরীক্ষিত নেতা কর্মীদের। খন্দকার মোশতাকের অনুসারী ও কুচক্রী বলে আখ্যা দিয়েছেন প্রথম সারির নেতাদের। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আওয়ামী লীগের ওইসব নেতাকর্মীকে অনবরত কাদিয়ানী আওয়ামী লীগ বলে মুখে ফেনা তুলেছেন।
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, গত ২০১৩ সালে সাংবাদিক শফিকুর রহমান পূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে ফিরছিলেন। যাত্রাপথে ফরিদগঞ্জ এর কালিরবাজার রাস্তার মোড়ে রাতের অন্ধকারে কাপুরুষোচিতভাবে তার বহরের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা করা হয়। মারধর করা হয় তার সঙ্গী-সাথীদের। বেশ কয়েকটি মোটর বাইক ভাংচুর করা ও ১০টিতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ বিক্ষুব্ধরা বলেন, তার প্রাপ্য প্রতিফল তিনি পাবেন।
উল্লেখ্য, ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে সভাস্থলে তিনি গিয়েছিলেন তার পাজারো গাড়িতে। স্থানীয় বিআরডিবি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত ওই সভা চলাকালীন আওয়ামী লীগের ওই বিক্ষুব্ধরা সভাটি পন্ড করে দেয়। সংঘর্ষ বাঁধে দুই পক্ষের মধ্যে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে একটি সিএনজি নিয়ে তাকে উঠিয়ে দেয়া হয়। সাইরেন বাজিয়ে যিনি গত পাঁচ বছর পুলিশ প্রহরায় চষে বেড়িয়েছেন সর্বত্র। সেই তাকে কয়েকজন সাধারণ কর্মী সিএনজিতে চাঁদপুরে পৌঁছে দেন।