ষ্টাফ রির্পোটারঃ
আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা ক্ষুব্ধ ও হতাশ। সারাদেশের তৃণমূল নেতাদের মধ্যে বিরাজমান চাপা ক্ষোভ যে কোন সময় বিস্ফোরণ হতে পারে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ২৪ জানুয়ারি রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের শুরুতেই স্কাইপিতে তারেক রহমান নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। তার অটল সিদ্ধান্তের কারণে এ নিয়ে আর কেউ কোন কথা বলেননি। দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ সিদ্ধান্তের কথা মিডিয়ার কাছে তুলে ধরেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনে যাওয়া-না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতামত নেয়া জরুরী ছিল। কিন্তু বিএনপি’র আত্মঘাতী এ সিদ্ধান্তে দলের ভেতরেই সমস্যা তৈরি হবে। সেসময় এ ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া আর সম্ভব হবে না।
বিএনপির এক তৃণমূল পর্যায়ের নেতা ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এমন কিছু বিষয় আছে যা কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে হয় না। বরং অনেক সময় কেন্দ্রের দেয়া সিদ্ধান্ত হিতে-বিপরীত হয়। আমরা তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের বিপদে-আপদে কাছে থাকার চেষ্টা করি। এসব কর্মকান্ড রাজনীতিরই অংশ। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তৃণমূলের মানুষ আমাদের কাজের মূল্যায়ন করে। কিন্তু এবার তো দলীয় হাইকমান্ড সে সুযোগই বন্ধ করে দিলো। আর এ জন্য দলকে খেসারত দিতে হবে।
জানা গেছে, সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়ার বিষয়ে দলের সিনিয়র নেতারা দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকলেও তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষে ছিলেন। এদিকে হাইকমান্ড স্থানীয় সরকার নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলেও তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ নিজ নিজ উদ্যোগে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। বিশেষ করে বর্তমানে যেসব বিএনপি দলীয় উপজেলা চেয়ারম্যান রয়েছেন।
সূত্র মতে, বিএনপি সব স্থায়ীয় সরকার নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় দলীয় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানদের মধ্যে বেশ ক’জন দল পরিবর্তন করে নির্বাচনের চেষ্টা করছে। আর তাদের সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মীও দল পরিবর্তন করে অন্য দলে চলে যাবে। এতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিএনপিই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।