অনলাইন ডেস্ক : আগামী নির্বাচনে আগেই সরকারি চাকরিজীবীরা বড় দুটি সুবিধা পেতে যাচ্ছেন। জাতীয় নির্বাচনের আগেই তাদের গৃহ নির্মাণ ঋণ এবং বর্ধিত বেতন দিতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারি চাকরিজীবীদের স্বল্পসুদে গৃহঋণের সুবিধা কার্যকর করতে গত ৩০ জুলাই একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা বলছে, এ সুবিধা পেতে আরও অন্তত চার থেকে পাঁচ মাস সময় লাগবে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দেরি হলেও নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ডিসেম্বরের আগেই স্বল্পসুদে গৃহঋণ সুবিধা চালু করতে চায় সরকার।
অর্থ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার জানান, ইতোমধ্যে ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান-সংক্রান্ত নীতিমালা’র প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা চলছে। খুব শিগগিরই এটি বাস্তবায়ন হবে।
গত ৩০ জুলাই অর্থ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার স্বাক্ষরিত ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা ২০১৮ প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে অর্থ বিভাগ। নীতিমালা অনুযায়ী, গৃহনির্মাণে পাঁচ শতাংশ সরল সুদে ঋণ নেয়ার যোগ্যতা হিসেবে কর্মচারীদের বয়সসীমা করা হয় চাকরি স্থায়ী হওয়ার পর সর্বনিম্ন পাঁচ বছর এবং সর্বোচ্চ ৫৬ বছর।
নীতিমালার আওতায় জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড ভেদে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ এবং সর্বনিম্ন ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেয়া যাবে। এ ঋণের মোট সদুহার ১০ শতাংশ। তবে এ ১০ শতাংশ সুদের পাঁচ শতাংশ সরকার এবং বাকি পাঁচ শতাংশ ঋণগ্রহীতা পরিশোধ করবে। ছয় মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ (ঋণ পরিশোধ শুরুর সময়) ২০ বছর মেয়াদে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।