Breaking News
Home / Breaking News / কক্সবাজারের ইয়াবাব্যাবসায়ীদের অস্ত্রের কি হবে

কক্সবাজারের ইয়াবাব্যাবসায়ীদের অস্ত্রের কি হবে

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজার সীমান্তে ইয়াবা পাচারে জড়িতদের অন্যতম হাতিয়ার তাদের দখলে থাকা অত্যাধুনিক নানা অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ। আত্মসমর্পণ করলে তাদের হাতে থাকা বিশাল এই অস্ত্রভারের কী হবে, সেটিই এখন আলোচনায়। তবে এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সূত্রগুলো বলছে, আত্মসমর্পণের সময়ই ইয়াবাকারবারিদের দখলে থাকা অস্ত্র-গুলি জমা দিতে হবে। এ নিয়ে কারবারিদের সঙ্গে দেনদরবারও চলছে। এখন পর্যন্ত যারা আত্মসমর্পণের জন্য পুলিশ হেফাজতে গেছে, তাদের কার দখলে কী পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদ রয়েছে সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইয়াবার সদর দরজা হিসেবে পরিচিত টেকনাফের মাদক ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগের হাতেই রয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্র। নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বসহ মাদক ব্যবসা পরিচালনার জন্য তারা এসব অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে। আত্মসমর্পণের সময় এগুলোও জমা দিতে সম্মত হয়েছেন কারবারিরা। তবে আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে চলছে শেষ মুহূর্তের আলোচনা। পুলিশ অবশ্য বলছে, অবৈধ অস্ত্র জমা দেওয়া হলে আত্মসমর্পণের পর অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হবে।

সূত্র জানায়, ইয়াবার গডফাদারদের রয়েছে বিশাল নেটওয়ার্ক। তাদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্রগুলোর মধ্যে স্মল আর্মস ছাড়াও রয়েছে চায়নিজ শর্টগান ও দেশি-বিদেশি রাইফেল। অস্ত্রের সংখ্যা সঠিকভাবে জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। তবে এখনই ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অস্ত্রের বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলতে চাননি পুলিশ কর্মকর্তারাও।

পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, প্রথমে চলতি মাসের শেষ দিকে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানটি করার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। তবে ৪ ফেব্রুয়ারি হবে বার্ষিক পুলিশ সপ্তাহ। এ উপলক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট নানা কাজে ব্যস্ত থাকায় প্রক্রিয়াটি পিছিয়ে দেওয়া হয়। এখন আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানটি ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে করার উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। এদিকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ৯০ জনের বেশি ইয়াবা ব্যবসায়ী পুলিশের জিম্মায় এসেছেন। পুলিশ আশা করছে, শেষ পর্যন্ত এ সংখ্যা ১৫০-এরও বেশি হবে।

ইয়াবা ব্যবসায়ী এবং পুলিশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের দায়িত্ব পালন করছেন বেসরকারি টেলিভিশনের একজন সাংবাদিক। এর আগে আরেক সাংবাদিকের মধ্যস্থতায় সুন্দরবন ও মহেশখালীর ৩৬০ জলদস্যু-বনদস্যু র্যাবের কাছে আত্মসমপর্ণ করেছিল। এ সময় তারা প্রায় ৪৯৮টি অবৈধ অস্ত্র ও ২৬ হাজার ৭৯০ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দেয়।

Powered by themekiller.com