নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেনের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে শুনানির জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁকে যে জায়গায় বসতে দেওয়া হয়, সেখান থেকে আইনজীবীদের তিনি ঠিকমতো দেখতে পারছিলেন না।
এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি তো কিছুই দেখছি না। আমি তো আপনাকে (বিচারক) দেখছি না। এই দেয়াল তো এর আগে ছিল না, এখন কোথা থেকে এলো। আমি এখানে থাকব না। আমি এখান থেকে চলে যাব।’
খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, আমিনুল ইসলাম, আবদুল রেজাক খান ও মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার শুনানিতে অংশ নেন। অপরদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন মোশাররফ হোসেন কাজল।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি মামলাটিতে কারাগারে থাকা খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করে ১৬ জানুয়ারি চার্জ শুনানির তারিখ ঠিক করেন আদালত। কিন্তু ওই দিন খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় তাঁকে আদালতে হাজির করেনি কারা কর্তৃপক্ষ।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার ১৩ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় গ্যাটকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০০৮ সালের ১৩ মে জোট সরকারের প্রভাবশালী নয় সাবেক মন্ত্রী-উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।
দুদকের উপপরিচালক মো. আবুল কাসেম ওই বছরের ৫ অক্টোবর খালেদা জিয়াসহ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে ওই দিনই তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।