বিনোদন ডেস্কঃ
সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় শেষবারের মতো সিক্ত হলেন মুক্তিযোদ্ধা, গীতিকার ও সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধা এই শিল্পীকে রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনার প্রদানের পর শ্রদ্ধা জানান গুণগ্রাহীরা।
এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। এফডিসিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর বিকালে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী করবস্থানে সমাহিত করা হবে বরেণ্য এই শিল্পীকে। আহমেদ ইমতিয়াজের মৃত্যুতে বাংলা সংগীত অঙ্গন হারালো এক মেধাবী সন্তানকে। একে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে দেখছেন তার দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধারা।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন দেশের এই সূর্য সন্তান। লাল সবুজের পতাকায় ঢেকে তাকে শেষ শ্রদ্ধা রাষ্ট্রের।
বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিমঘর থেকে বাংলা গানের শ্রষ্টাকে নিয়ে আসা হয় শহীদ মিনারে।
ঢল নামে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সহযোদ্ধা, অগ্রজ ও অনুজদের। যিনি সুরের মূর্ছনায় বাঙালীকে তার শেকড়ের সাথে পরিচয় করিয়েছেন বার বার, তার বিদায়। অনেকেই ধরে রাখতে পারেন নি আবেগ।
সঙ্গীত শিল্পী সালমা বলেন, আমাকে সবসময় বাবার মত ভালবাসা দিয়েছেন। আজকে বাবাকে হারিয়ে ফেললাম, এই কষ্টটা বলে বোঝাতে পারবো না।
সঙ্গীতের সব মাধ্যমেই ছিল তার দীপ্ত পদচারণা। একাধারে কাজ করেছেন গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে। মুক্তিযুদ্ধের পরে, তার সৃষ্টি বেশ কিছু দেশাত্মবোধক পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। সংগীতে অবদানের জন্য একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, রাষ্ট্রপতি পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মানে ভূষিত হন এই বিরল প্রতিভা।
শ্রদ্ধা জানান সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দও।
আওয়ামী লীগের নেতা মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, বুলবুল ছিলেন একজন অকুতোভয়, সাহসী মানুষ। তিনি শুধু মুক্তিযুদ্ধই করেননি, স্বাধীনতাবিরোধীদের জন্য তিনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।
১৯৫৬ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকায় জন্ম নেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। মঙ্গলবার রাজধানীর আফতাব নগরে নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।