Breaking News
Home / Breaking News / নড়াইলের মামলায় খালেদার জামিন স্থগিতের শুনানি হবে আপিল বিভাগে

নড়াইলের মামলায় খালেদার জামিন স্থগিতের শুনানি হবে আপিল বিভাগে

২০১৫ সালে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আলোচনা সভায় শহীদের সংখ্যা নিয়ে খালেদা জিয়ার মন্তব্যের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা হয়।
স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে ‘বির্তকিত’ মন্তব্যের অভিযোগে নড়াইলের মানহানি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাই কোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে সাড়া দেয়নি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
বৃহস্পতিবার চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী; সঙ্গে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল, এ কে এম এহসানুর রহমান।

নড়াইলের আদালতে করা এ মানহানির মামলায় খালেদা জিয়াকে গত ১৩ অগাস্ট ছয় মাসের জামিন দেয় হাই কোর্ট। ওই আদেমের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে গত ১৯ অগাস্ট চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

বৃহস্পতিবার ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার আইনজীবী এহসানুর বলেন, আগামী ১ অক্টোবর আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে উঠবে।

চেম্বার আদালত স্থগিতাদেশ না দেওয়ায় খালেদা জিয়াকে হাই কোর্টের দেওয়া ছয় মাসের জামিন আদেশই বহাল থাকছে বলে তার আইনজীবীরা জানান।

এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজার রায়ের পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই মামলায় তিনি জামিন পেলেও আরও কয়েকটি মামলার কারণে তার মুক্তি হচ্ছে না।

নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ আদালত গত ৫ অগাস্ট খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করলে গত ৯ আগস্ট হাই কোর্টে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করেন খালেদার আইনজীবীরা। সে আবেদনেই ১৩ আগস্ট ছয় মাসের জামিন দেয় হাই কোর্ট।

নড়াইলের আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলাটি হয় ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর। নড়াইল জেলা পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান ফারুকী ওই মামলা দায়ের করেন।

ওই বছর ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এক আলোচনা সভায় খালেদা মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেন, “আজকে বলা হয়, এতো লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে আসলে কত লক্ষ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই-কিতাবে নানারকম তথ্য আছে।”

একাত্তরে আওয়ামী লীগ ‘স্বাধীনতা’ নয়, ‘ক্ষমতা’ চেয়েছিল দাবি করে ওই সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “তিনি (জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।”

মামলার অভিযোগে বলা হয়, “মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা এবং জাতির জনকের গৌরবজনক ভূমিকা নিয়ে খালেদা জিয়া উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য দিয়ে মানহানি করেছেন।”

ওই বক্তব্যের কারণে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও বেশ কয়েকটি মামলা হয়।

Powered by themekiller.com