কবি তুমি নেমে এসো
শ্যামল ব্যানার্জী
০৬/০৩/২০২ ৩
মহামান্য কবিরা, এবার সময় কে চেখে দেখো,
বড় বিস্বাদ.. ঘামের নোনতা ভাব,
পরখ করে দেখো আর নেমে এসো,
নেমে এসো, তোমাদের একাকিত্বের পাহাড় থেকে।
নবান্নের ধানের ক্ষেতে চোরা রক্ত স্রোত,
পতাকাগুলো ভিজে লাল,
কবি, অ-কবি মহোদয় সব, লেখক.. লেখিকারা, এখানে জমায়েত হতে,
অনেক পদস্খলন হবে, ললিপপ হাতে বেহায়া ক্ষমতাশালী , তোমায় অভ্যর্থনায় ভরিয়ে দেবে,
তুমি ভুলে যেওনা কবি, অ-কবি সকল,
আমাকে হত্যা করার জন্য, ওরা দানবেরা, পরিকল্পনা মাফিক,
ভোজের আসর বসিয়েছে।
কবিতা হয়তো অনেকের কাছে প্রহসন হতে পারে,
কিন্তু কবি,
কবিতা তো আসলে বুনিয়াদি এক মসলা,
যা বাঁচার মানে খুঁজে দিতে পারে।
কবি তো কবিই হয়, কখনও প্রেমিক, কখনও
বিদ্রোহী, আবার কখনও, বিপ্লবী।
তুমি যদি দার্শনিক হও.. একখানা মুক্তির কবিতা লেখো, তাহলে তোমার সে কবিতার বজ্রনির্ঘোষ ধ্বনি, ঐ দানবের কানে নিশ্চিত পৌঁছাবে,
আর ভীত ভাবে আমায় ছেড়ে দেবে।
কবিদের মহা মিছিলের পুরো ভাগে অত্যাচারিত মানুষটা-কে রেখো,
যাকে দেখে, তুমি বিপ্লবের কবিতা লিখবে,
কৃষকের লাঙ্গল আকাশটা চাষ করে যাক,
মানুষের মুখ উঠুক ভেসে জলে জঙ্গলে,
তোমার কবিতার তেজস্বী ভাষণে।
তাহলে,
সাথী ভদ্র সকল কবি মহোদয় গন, এবার তবে কামারশালে যাওয়া যাক,
প্রয়োজনীয় কলম গুলো বানিয়ে ফেলি।