Breaking News
Home / Uncategorized / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

ফাঁকিবাজি মিষ্টি
দোলা ভট্টাচার্য্য

মিষ্টি দেখলেই হল। পিঁপড়ের মতো সেঁটে যাবে সেখানে। আরে বাবা, বাঙালি যে মিষ্টিখোর, সকলেই জানেন। পালে পার্বনে মিষ্টি তো আছেই। তবে মিষ্টি খাবার জন্য বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানের দরকার নেই। রাতে রুটির সাথে একটু মাখা সন্দেশ বা দুটো রসগোল্লা। নিদেন দুটো দানাদার হলেও চলবে। কিন্তু জন্মদিনে! সেখানে তো স্পেশাল মিষ্টি চাইই ।
এবারে মেয়ে বায়না ধরেছে, ওর জন্মদিনে কেনা মিষ্টি তো আনতেই হবে। তার সাথে চাই মায়ের ফাঁকিবাজি মিষ্টি। ফাঁকিবাজি মিষ্টি শুনে ঘাবড়ে যাবেন না পাঠক। এটা হল ভাপা দই। এটা নিয়ে আগেও লিখেছি আমি। বাবার মিলের সাহেব কে খাওয়ানোর জন্য আমার মা বানিয়েছিলেন অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে। তবে আমরা এখন এটা করি অনেক সহজ পদ্ধতি তে। খানিকটা ফাঁকিবাজি তো একে বলা যায়ই। যাইহোক, এখন রেসিপি টা বলি।
এটার জন্য লাগবে —
পাঁচশো গ্রাম টক দই
মিল্কমেডের ক্যান (২৫০ গ্রাম )
ছোট এলাচ গুঁড়ো
কাজূ
কিশমিস
পেস্তাকুচি
পাঁচশো গ্রাম টক দই ছেঁকে পুরো জলটা বার করে নেওয়া হল । মিল্কমেড আড়াইশো গ্রামের ক্যান থেকে পুরো মিল্কমেড টা বার করে জল ঝরানো দই এর সাথে ভালো করে এবার মিশিয়ে নিতে হবে । একটা টিফিন কৌটোর ভেতরে ভালো করে ঘি মাখিয়ে মিশ্রণ টি ঢেলে দেওয়া হল । ওপরে কাজু, কিশমিশ, পেস্তাকুচি ছড়িয়ে ঢেকে দিলাম । এবার প্রেসার কুকারে খানিক টা জল নিয়ে গ্যাসে বসানো হল। জলটা ফুটতে শুরু করলে মুখবন্ধ টিফিন কৌটোটা বসিয়ে দেওয়া হল। কৌটোর অর্ধেক যেন জলে ডুবে থাকে এমন ভাবে বসাতে হবে । প্রেসারের ঢাকা বন্ধ করে ভেন্টটা খুলে দিতে হবে । এভাবে দশ মিনিট। গ্যাস নিভিয়ে এবার অপেক্ষা। ঘন্টা দুই /তিন বাদে কৌটো টা বার করে একটা থালার ওপর আস্তে করে উপুড় করো। দই টা নেমে আসবে। আর একটা থালার ওপর আগের থালাটা উল্টে দিয়ে দেখো, কি সুন্দর ফাঁকিবাজি মিষ্টি তৈরি হয়ে গিয়েছে। একটুখানি কেটে মুখে দিয়ে দেখো। আহঃ! কি অপূর্ব স্বাদ! এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে তুলে রাখো দেখি। এই মিষ্টি টা একসময়ে সোনারপুরে আমার মামাবাড়ি তে খুব আসত। বেশ কয়েকবার খেয়েছি। তখন আমি খুবই ছোট। এখন আর পাওয়া যায় না। মিষ্টির কারিগর রা খরচ পোষাতে না পেরে বন্ধ করে দিয়েছে এই মিষ্টি বানানো। আমরা গৃহবধুরা হাতে তুলে নিয়েছি সেই দায়ভার। আবিষ্কার করেছি নতুন ফাঁকিবাজি পদ্ধতি। এভাবে বানাতে কারো আর অসুবিধা হবে না।

জন্মদিনে ফাঁকিবাজি মিষ্টি পেয়ে, মেয়ে তো দারুণ খুশি। ওর সাথে আরো একটা মিষ্টি বানিয়েছিলাম। এটা আমার মায়ের কাছে শেখা। এই মিষ্টির নাম জানি না। তবে খেতে বড় ভালো ।
এর জন্য লাগবে —
২৫০গ্রাম বেসম
২৫০গ্রাম চিনি
মিল্কমেড ছোট
ছোট এলাচ গুঁড়ো
ঘি পরিমাণ মতো
আড়াইশো চিনির রস করে তারসাথে মিল্কমেড মিশিয়ে ঘন একটা মিশ্রণ তৈরি করে রাখলাম। মিশ্রণের মধ্যে একটু ছোট এলাচ গুঁড়ো দিয়ে ঢেকে রাখা হল। এবার একটা কড়াইতে বেশ খানিকটা ঘি ঢেলে তার মধ্যে আড়াইশো গ্রাম ব্যাসম দিয়ে নাড়াচাড়া করো। বেশ সোনালী রং ধরলে ওর মধ্যে চিনির রস আর মিল্কমেডের মিশ্রণ টা ঢেলে দাও। এবার খুব দ্রুত হাতে মিশ্রণ টা নাড়তে হবে। লক্ষ রাখা দরকার, কোনো ভাবে তলায় যেন লেগে না যায়। নাড়তে নাড়তে বেশ সুন্দর একটা রং আসবে। পাক হয়ে গেলে, আগে থেকে ঘি বা মাখন মাখিয়ে রাখা থালায় এবার ঢেলে দাও। ঠান্ডা হয়ে গেলে জমে যাবে জিনিসটা। এবার ছুরি দিয়ে কেটে নাও। কর্তামশাই খেতে খেতে কললেন, “দিলখুশ টাইপের খেতে লাগছে। একটা নয়, মায়ের হাতের দুরকম মিষ্টি পেয়ে মেয়েটা তো খুব খুশি। বলল, *উমম! দারুণ হয়েছে মাম্মা।

——————————————–
#দৈনিক #কবিতা #অনুশীলন
বিষয়ে:-কবিতা
শিরনামে:- গন্তব্য আমার স্বামীজীর আলয়
কলমে:- সায়ন বরকন্দাজ
০৬/০২/২৩

হঠাৎ ডাক পড়লো গন্তব্য আমার স্বামীজীর আলয়,
তাই শুনে যে খুশির জোয়ারে আনন্দে মাতি রে…
সকাল থেকে তোর জোর তাড়া হুড়োর হুল্লোড়ে,
অপেক্ষায় দন্ডায়মান বটবৃক্ষের তলদেশে,
অপেক্ষায় অপেক্ষায় সময় কাটে না অস্থিরতা মন
কখন যে আসবে আমাদের যাত্রাবাহী বাহন,
অপেক্ষার হলো অবসান এলো সেই শুভক্ষণ,
উঠে পড়লাম বাসে আনন্দে মন নাচে,
দেখতে দেখতে এগিয়ে চলো আমাদের বাস,

কয়েক ঘন্টা কেটে গেলো মন আর মানছে না..
মনকে বোঝালাম আর কিছুক্ষণ তারপর ই হবে সেই শুভক্ষণ,
প্রাকৃতিক পরিবেশ ও পুরোনো কোলকাতার পথে চলতে চলতে এগিয়ে চলছিলাম গন্তব্যের দিকে,
এই পুরোনো কোলকাতাকে ঘিরে রয়েছে জানা-অজানার ইতিহাস, চক্ষুস করে নিলাম সব কিছুরে,

তার কিছুক্ষণের মধ্যে পৌছে গেলাম স্বামীজীর বাড়ি কাছে,
হুড়োহুড়ি পড়ে গেলো বাস থেকে নামার,
এইবার যে পদযাত্রা শুরু হবে তাঁর বাড়ি যাওয়ার।
পদযাত্রা শুরু হলো অংশগ্রহণ করলো কয়েকশো মানব,
তারপর এগিয়ে চলছি পথ যে হয় না আর শেষ..
চলার পথে বাধা সৃষ্টি করছে যে রবি,
তাও যে হার না মানার চলছে লড়াই।
সকল কিছুর বাঁধা অতিক্রম করে চলে এলো সেই মুহুর্তক্ষণ ।
ওই যে দেখা যায় স্বামীজীর বাড়ি…

হ্যাঁ,চলে এলাম স্বামী বিবেকানন্দের পৈত্রিক ভিটেবাড়িতে।

——————————————–
দু’দিনের দুনিয়ায়
মুহাম্মদ জিয়াউল হক
তারিখঃ ০৫/০২/২০২৩ খ্রি.

দু’দিনের দুনিয়ায়
আজকে আছি কালকে নাই,
তবু কীসে করিস রে মন
এত যে বড়াই?
মন.. এত যে বড়াই

মন রে…
বিশ্বাস নাই যে এক নিশ্বাসের
বন্ধ হবেই সব উচ্ছ্বাসের
জীবনবাতির আলো নিভে হায়!
যদি তোর দম ফুরায়ে যায়
অ মন, দম ফুরায়ে যায়।

মন রে…
যেদিন শেষের ডাক আসিবে
সবি ছেড়ে যেতেই হবে,
একলা ঘরে তোর হবে ঠাঁই
নিরজন নিরালায়,
অ মন নিরজন নিরালায়।।

——————————————–

কবিতাঃ আমার ভাষা
কলমেঃ আশা আক্তার মিম
তারিখঃ ০৫/০২/২০২৩ ইং

আমার ভাষা, বাংলা ভাষা
বিশ্বে অনন্য।
বাংলা ভাষায় কথা বলে
গর্বে আমি ধন্য,
শুধু বাংলা ভাষার জন্য।
বাংলাদেশে বাংলা ভাষায়
সবাই কথা বলি,
বাংলা ভাষা ছড়িয়ে আছে
শত অলি-গলি।
বাংলা আমার মায়ের ভাষা
আছে মধুর সুর,
এই ভাষাতেই কথা বলি
থাক যত দূর।
ভাষার জন্য জীবন দিয়ে
শহীদ হলেন যারা,
শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি
আমরা বাঙালিরা।
অনেক কবি লিখেছে বসে
রক্তদানের ব্যথা
বাংলা ভাষায় আছে অনেক
আত্মত্যাগের কথা
আমার ভাষা অনেক শক্তিশালী
বিদেশী ভাষার চেয়ে
তাইতো আমি কবিতা লিখি
বাংলা ভাষাকে নিয়ে।

❤️❤️❤️ (সমাপ্ত) ❤️❤️❤️

——————————————–

গল্পের নাম ঃ- ঝরা পাতা
লেখকঃ- এম জে মেহেদী হাসান

জীবন টা কেন জানি.! মনে হচ্ছে একটি গাছের কঁচি পাতা থেকে শুকনো পাতার মতো রুপ ধারণ করছে। একটি পাতা যেমন একটি গাছের ডালে জন্ম নেয় তখন ছোট কলি গুলোএক সাথে থাকে ঠিক যেমন বড় পাতা গুলো ছোট পাতা গুলোকে আবৃত করে রাখে। ধিরে ধিরে ছোট পাতা গুলো বড় হতে থাকে আর বড় পাতা গুলো দূরে সরে যায় হঠাৎ বড় পাতা গুলো ঝরে পড়ে য়ায আর ঐ যে ছোট পাতা গুলো ছিল এখন তারা অন্য ছোট পাতা গুলো কে আবৃত করে রেখেছে..!

এর মানে এটা দাঁড়াচ্ছে পৃথিবীর হচ্ছে ঐ যে,, গাছ,,। আর আমরা জন্ম গ্রহণ করেছি ছোট পাতা হয়ে । বাবা মা হচ্ছে সে বড় পাতা। আমাদের মা,বাবা, আমাদের কে একটি মায়ার চাদরে আবৃত করে রেখেছে। অনেক আদর ভালোবাসা দিয়ে লালন পালন রেখেছে হাতে ধরে লেখা পড়া স্কুল কিভাবে যেতে হবে। কিভাবে খাবার খেতে হবে। কিভাবে হাঁটতে হবে। কিভাবে কথা বলতে হবে। কাকে সম্মান দিতে হবে ধিরে ধিরে সব শিখাচ্ছেন। হঠাৎ একদিন গাছের পাতার মতো আমাদের কে আস্তে আস্তে ছেড়ে দিবেন মায়ার বাঁধন থেকে বুঝতে পারবো না কখন যে সরে যাচ্ছে তখন আর আমাদের হাত ধরিয়ে লেখা শিখাবে না আর নিজ হাতে খাবার খাইয়ে দিবে না। আর হাতে ধরিয়ে হাঁটা শিখাবে না। এক দিন দিখা যাবে তাদের জীবন টা পাতার মতো লাল বর্ণ ধারণ করছে হঠাৎ যদি ঝড় আসে পাড়ার মতো অবস্থা।

কি বলবো আমার বলার ভাষা হারিয়ে ফেলছি…!

কারণ আমরা এখন পৃথিবীতে কিভাবে চলতে হবে তা এখন শিখে গিয়েছি। এখন আমরা বুঝে গিয়েছি পৃথিবীর কোনটা ভালো কোনটা মন্দ । এই পৃথিবীতে আমাদের কে সব কিছুর শিখানোর মূল উদ্দেশ্য ছিলো এটা, ভালো মন্দ দিক বুঝতে পারা। এক সময় তারা ও আমাদের মতো ছিলো তাদের বাবা মা ও আমাদের মত শিখিয়েছে আজ এখন আমাদের তারা” বাবা মা,” এটা পৃথিবীর আসল রুপ।

সত্যি মানুষের মৃত্যু একবার হয় না মানুষের মৃত্যু হয় খনে খনে, যেমন আমাদের অতীত ইচ্ছে করলে ও যেতে পারবো না কারণ আমরা এখন কচি পাতা নেয় এক ধাপ সামনে চলে এসেছি চাইলে ও কচি পাতা হতে পাবো না ধিরে ধিরে আমাদের বাবা স্থানে চলে যাবো। এর পর থাকবে শুরু ঝরে যাওয়ার অপেক্ষা তার পৃথিবীর তার মায়ার বাঁধন ঠেলে আমাদের পরিবার গুলো রেখে আসবে ছোট একটা মাটি ঘর যেখানে নাই পৃথিবীর বস্ততা নাই কোনো কিছুর চিন্তা আপন জনের জন্য আর কেউ নিবে না একটু খুঁজ এটা পৃথিবীর নীতি মালা…!

ধন্যবাদ সবাই কে….★

——————————————–

আমি মাতঙ্গিনী মুর্মু, অভিসম্পাত করছি……….
-রাজর্ষি চক্রবর্তী

এই যে দাদা! শুনছেন?
আমি, আমি, আমি ডাকছি!
একটু দাঁড়াবেন!
প্লিজ, একটু দাঁড়ান, আমি আসছি।

নমস্কার, আমার নাম মাতঙ্গিনী মূর্মু।
বিশ্বাস করুন, আমি একজন ভারতবাসী।
আমি একজন দলিত, হিন্দু, ভারতবাসী।
আমার বাড়িতে, মানে, কোন শৌচাগার নেই, জানেন!

তাই আমি, আমাদের গ্রামের পুকুরে
স্নান করতে যাই।
মানে, যেতে বাধ্য করা হয়।

স্নান করতে গিয়ে, আমার শরীরের
উর্ধাঙ্গের কাপড় সরে গিয়েছিল। জানেন!

তাই আমাকে সবাই খুব মেরেছে।

আচ্ছা, স্নান করতে গেলে তো, আপনার মায়েরও শরীরের কাপড় সরে যায় বা আপনার স্ত্রীর অথবা আপনার মেয়ের!

তাকেও কি সবাই মারে?

আসলে, আমার সাথে যা হয়েছে,
সেটাই তো সবার সঙ্গে হওয়া উচিৎ!

কি? তাই না!

এই দ্যাখো! সবাই কিরকম চুপ মেরে গেছেন!

আমি যেদিন সহ্য করতে পারব না, সেদিন একটা জ্বলন্ত দেশলাই কাঠি মেরে দেব।

সেদিন সব্বাই একসাথে ভালো থেকো।

Powered by themekiller.com