আমার যে মা নেই
সোনালী আদক
২/১২/২২
মা-আ-আ,,,ওমা-আ-আ,,,মাগো-ও -ও,,,বুকে জমে থাকা ব্যাথা গুলো,বুক ফাটা চিৎকার হয়ে, যখন ডেকে ওঠে মা-আ-আ,,,যদি সাড়া না পাই,,প্রত্যুত্তরে কোনো জবাব না পাওয়ার ,কারণ খুঁজি,,
কেনো? ওমা-আ-আ,, বললেই বুকটা ছ্যাঁক করে ওঠে,,হৃৎপিন্ডটা জোরজোর শব্দে গুলিয়ে ওঠে,,ফুসফুসটা যেন, মায়ের শুদ্ধ নিশ্বাসের গন্ধ না পেয়ে ,কাজ করা বন্ধ করে,নিস্তব্ধতা পালন করতে চায়,,চোখ দুটো মায়ের মধুর হাসির মুহূর্ত গুলো খুঁজে ফেরে,,মায়ের আঁচলে যে সুখ আছে, শান্তি আছে,,বুকে যে নির্ভরতা আছে, তা যে আর কোথাওই নেই,,তবে মাগো-ও-ও,,,দু বাহু বাড়িয়ে এগিয়ে এসো, জানি,তুমি আছো, ভরসা আছে,,আর কেউ থাক বা নাই থাক, মা আছে,,আমার মা তো আছেই,,কেনো এমন হয়?
মায়ের সঙ্গে যে সন্তানের আত্মিক টান,নাড়ির যোগ, রক্ত মাংসের গঠন,মা মানে,একটা কাছের বিশ্বাস,নির্ভরশীল নিশ্বাস,,আছি তো পাশে, বিপদে,আপদে,, বুক পেতে, ভরসার আশীর্বাদ , না ঠকার দৃঢ় প্রত্যয় হয়ে,,এতো কিছুর পরেও হৃদয়টা কেনো কেঁদে ওঠে, গুমরে ওঠে মন,,মনে পড়ে যায়, হতভাগী ,জনম দুখি, কপাল পোড়া সর্বহারা আমি,,,,আমার যে মা নেই,,
আর পাঁচজনের মতো আমি যে তেমন ভাগ্যবতী নই, এই পৃথিবীতে যার মা থাকে না, সে যে বড়ো নিঃস্ব, অসহায়, কাঙাল, ভিখারি,, মায়ের বুকের তাপ হীন ভিখারী, মায়ের ভালোবাসার কাঙাল, মায়ের স্নেহ মমতা হীন ঐশ্বর্যৈ নিঃস্ব,, মায়ের মতো করে বিশ্বাসের জায়গাটা যে বিরাট শূন্য, প্রাণ খুলে, নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে নির্ভরতার, বিশাল একাকিত্ব,, নাড়ীর টানটা যে ভীষন গভীর, পবিত্র,,
যখন মনে জমে থাকা ব্যাথা, খেদ, ক্লান্তি, দুখ্য,অবসাদ গুলো ,সবটা- সবটা উথলে ওঠে,,মায়ের বুকে উজার করে,কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে,দীর্ঘ ঘুমে লুটিয়ে পড়বো,মায়ের কোলে,,বেদনা গুলো উজার করে খানিক অশ্রু ঝড়াবো, মায়ের আঁচলে,,শান্তির প্রশ্বাস নেবো বলে,শশব্যস্ত হয়ে ডাকি মা-আ-আ,,ওমা-আ-আ,,মাগো-ও -ও, নিরাশ হয়ে,বেমালুম ভুলে যাই, আমার মা তো নেই,পাপের পৃথিবীতে ছেড়ে, মা পবিত্র স্বর্গরাজ্যে বিরাজমান,,শূন্য বুকে, আবারও দুখ্যের পৃথিবীতে মাথা ঝোঁকাই,বশ্যতা স্বীকার করি, কলঙ্ক গুলো গায়ে মাখি,একাকীত্ব খুবলে খায়,যন্ত্রনা গুলো তাড়িয়ে বেড়ায়,বেমালুম ভুলে যাই, মাকে তো, সেই কবে হারিয়ে বসে আছি,,কিন্তু অভ্যেস গুলো আজও বর্তমান,,সেই একই ভাবে মাকে ডাকি,, মা-আ-আ,, ওমা-আ-আ,,মাগো-ও- ও।