Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টুকিটাকি
মকবুল হোসেন
তারিখঃ ২৯/১১/২০২২ ইং

বারো দলে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ পেল না ঠাঁই,
ব্রায়ান লারা কে কষ্টের কথা জানালাম তাই।
নবাগত একটি দলের নাম আয়ারল্যান্ড,
তাদের কাছে ধরাশায়ী হলো ইংল্যান্ড।
দুইটি দলের বিরুদ্ধে দেশ পেয়েছে কষ্টের জয়,
নেদারল্যান্ড আর জিম্বাবুয়ে নামে পরিচয়।
আফ্রিকার বিরুদ্ধে হেরেছে এক শ চার রানে,
সবার মন খারাপ,এমন আঘাত হানবে কে জানে?
ক্যাপ্টেন শাকিবের ব্যাট তেমন উঠে নাই জ্বলে,
লক্ষ লক্ষ ভক্তের তাই হৃদয় গেছে গলে।
মাত্র সাতাশ বলে ষাট রান করেছে লিটন দাস,
ভারত জিতলো বৃষ্টি করেছে সর্বনাশ।
জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে পাক হেরেছে এক রানে,
এমন পরাজয় ভক্তদের মনে আঘাত হানে।
ধুঁকে ধুঁকে পাকিস্তান উঠছে সেমিতে,
অনিশ্চিত এক দল সবাই কে হবে মানতে।
দক্ষিন আফ্রিকা কে হারালো একটা দুর্বল দল,
নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে শরীরে পেল না বল।
বিরাট কোহলি বরাবরই ছিল করিতকর্মা,
বেশি আনন্দ পেয়েছে আনুশকা শর্মা।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হয়েছে খেলা,
সেমিতে নাই,ব্যর্থতায় কাটছে তাদের বেলা।
দেশ উইকেটে ভারত হারলো সেমি ফাইনালে,
এমন অঘটন আমি দেখি নাই কোন কালে।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে পাতলো যেন সজ্জা,
ভারতীয়দের ভক্ত পেল সাংঘাতিক লজ্জা।
পাকিস্তান শেষে ফাইনালের টিকিট পেল,
ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে ঠিকই ধরা খেল।
ইংল্যান্ড নিল বিরানব্বই সালের প্রতিশোধ,
পাকিস্তান গড়তে পারে নাই প্রতিরোধ।

যুবক-যুবতীদের যেমন বিশ্বাস করতে নাই,
অনিশ্চিত ক্রিকেটে বাজি নাহি চাই।

রচনাকালঃ ১৫/১১/২০২২ ইং
বালিয়াপুকর,রাজশাহী
মাত্রাবৃত্তে ১৪ মাত্রা।

——————————————–

ভাঙ্গন ।।
————–
# নিখিল বিশ্বাস ।। ২৯.১১.২০২২.

নদীর কাছে অনেক ঋণ,
নদী আমার ঘর ভেঙেছে,
ঘরের ভিতর দুঃখ ছিলো,
ভেসে গেছে জলের তোড়ে,
দুঃখ গেলে কি আর থাকে,
দুঃখ গেলে মানুষ ফাঁকা ।

আমি এখন শূন্যে ভাসি,
ঘর নেই, ঘরণী নেই
ভাঙন আমার নিয়েছে সব,
বিনিময়ে পেলাম আমি, ওপারে এক
বিশাল বালির চর।।

©️ নিখিল বিশ্বাস ।।

——————————————-

বিষয়–কবিতা
শিরোনাম–নিস্তব্ধ সন্ধ্যা
কলমে–প্রতিমা চ্যাটার্জী
তারিখ–29.11.2022

জীবন অতিবাহিত হয়ে যায় -সরলরেখার অবস্থানে—
অপেক্ষার দোটানায় ছন্দের বিলম্বিত লয়ে—
প্রতিটি পদক্ষেপের বাহারি আলোর রোশনাই তে
মূখর হয়ে ওঠে প্রতিবাদের ভাষা,
নিস্তব্ধ সন্ধ্যায় একাকী নির্জনতায়!!
অবুঝ মনের দিশাহীন মগ্নতায়–
নির্লিপ্ত বোঝাপড়া,
ঐ দুর নীল আকাশে ,
পাখিদের ঘরে ফেরার সময়ের আলাপনে–
অরণ্যের নির্জনতায় অন্ধকারের বিহ্বলতা,
মন চলে যায় ভালোলাগার প্রান্তরে,
ময়নামতীর মাঠের ধারে–
কোন সুর তোলা বাউলের একতারাতে!!!

——————————————–

প্রবাসী-০২
ইব্রাহিম খলিল

বাবা তোমার ঋনের টাকা,ফেরত দিও আগে
কেউ তোমাকে চোখ রাঙ্গালে,বুকের ভেতর লাগে।

তাইতো বাবা ঝুঁকি নিয়েই,বিদেশ এলাম চলে,
তোমার মলিন ঠোটের কোনে,হাসি দেখবো বলে।

টিনের চালে শতেক ফুঁটো,বৃষ্টি পরে ঘরে,
ভেজা কাথায় শুয়ে যেনো,ভোগেনা মা জ্বরে।

চাষের জমি ছাড়িয়ে নিও,কয়েকটা মাস পর,
বর্ষা আসার আগেই তুমি ঠিক করে নাও ঘর।

মায়ের হাতের বালা দুটি,নিখিল বাবুর কাছে,
এক বছরের শর্তে বাবা,জমা রাখা আছে।

নানীর দেয়া বালা দুটো,মায়ের অনেক প্রিয়,
বালা দুটি ছাড়িয়ে এনে,মায়ের হাতেই দিও।

বাবা তোমায় এখনো কি,ধমক মারে জলিল,
পাওনা টাকা চাইতে এসে,চায়,কি বাড়ির দলিল?

বাবা তুমি আর কেঁদোনা, মুছে ফেলো চোখ,
ঋনের বোঝা নামিয়ে দেবো,কষ্ট যতোই হোক।

নিজের খেয়াল রেখো তুমি,খেয়াল রেখো মায়ের,
বোনকে নতুন জামা দিও,নেই জামা তার গায়ের।

ছাগল দুটো কেমন আছে,পায় কি খেতে ঘাস,
কেমন আছে খুব আদরের,আমার প্রিয় হাঁস?

ওদের ছেড়ে থাকতে আমার,রক্তক্ষরণ বুকে,
তাইতো বাবা বলি তোমায়,রেখো ওদের সুখে।

আমি বাবা বিদেশ থাকি,মন পড়ে রয় দেশে,
প্রতিদিনই জেগে উঠি,স্বপ্ন ভাঙ্গার শেষে।

গুলশান,ঢাকা।

——————————————–

বিদিশা ___দ্বিতীয় পর্ব
কলমে __পম্পা
তারিখ___২৯/১১/২০২২

ঔষধ খেয়ে বিদিশা একটু সুস্থ হতে না হতেই বাড়ির সমস্ত কাজ তাকে দিয়ে করানো হয়। এদিকে সন্তানদের কথা ভেবে বিদিশা প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করে চলে। দীর্ঘদিন ওই স্বামীর সাথে ঘর করার পর সে বুঝে গেছে যা করার তাকেই করতে হবে । ওই রকম অপদার্থ স্বামীর দাঁড়াই কিছুই হয়নি যখন এতদিন ,, আর হবে না তাই তাকে সুস্থ হয়ে উঠতেই হবে ।। নইলে তার সন্তানরা দিশেহারা হয়ে পড়বে।। যে ছেলেরা তার বাবার কাছ থেকে কোনদিনই ভালো শুভকামনা পাই না সেই বাবার কাছে ভালো কিছু পাওয়ার কি আর আশা থাকে???

সারাদিনের টর্চারিং মানুষ তো দেখতে পারে,, সূর্যের আলোর সামনে উচ্চস্বরে বিদিশা প্রতিবাদও করতে শিখেছে এখন।। কিন্তু রাতের বেলায় বিদিশার ওপর যে অত্যাচার হয় সে কথা সে কাকে বলবে? একমাত্র ঈশ্বর ছাড়া সে কথা কেউ জানতে পারে না। নিজের স্বামীর কাছে অপমানিত হওয়া ,, লাঞ্ছনা পাওয়া,, শারীরিক অত্যাচারিত হওয়া এ যে ভীষণ অপমানের ।। সে কাউকে সে কথাগুলি বলতে পারেনা। এই পুরুষগুলি দিনের বেলায় স্ত্রীকে দিয়ে পরিশ্রম করিয়ে সেই টাকায় সংসার খরচ চালায় আবার রাতের বেলায় রাতের আধারে নিজের চাহিদা মত স্ত্রীকে ব্যবহার করে ।। চাহিদা পূরণ না হলে শুরু করে দেয় মারধোর ।। নোংরা কথা বলতে বলতে স্ত্রীর শরীরে বিষ ঢেলে দেয় এই পুরুষ গুলি।।

কত রাত যে স্বামীর মুখের মদের গন্ধে তার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয় ।। চোখের দু পাতা এক করতে পারেনা কতদিন বিদিশা।। তবুও নিজের স্বামীকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে পারে না। একদিন তো ওই নিষ্ঠুর বর্বর স্বামী তাকে সন্তান সহ বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল।। এখন রাগের বসে বলেও যদি ফেলে বিদিশা __এখন এটা আমার বাড়ি ,,এই বাড়ি থেকে চলে যাও !! ওই কুলাঙ্গার স্বামী কি যাবে?? ওইসব মানুষ যাবে না,, একটু শান্তিও পেতে দেবে না। ওইসব ওষুরের মতো শক্তিধর শয়তান স্বামীদের সাথে বিদিশার মতো মেয়েরা পেড়ে ওঠে না।। সমাজ বেশিরভাগ সময় মেয়েদেরই দোষ ধরে ।। স্ত্রীকে ধরে স্বামী মারবে তো সমাজের কি?? মানুষ বলবে ওদের পারিবারিক ব্যাপার। পাড়ার মানুষ সেখানে গিয়ে কি করবে? ??

অনেক মার খেতে খেতে বিদিশা এখন অনেক শক্ত হয়েছে।। কিন্তু সবকিছু করতে পারলেও হিন্দু মেয়েরা বোধ হয় স্বামীর গায়ে হাত দিতে পারে না ।। তাই এসব শয়তান বিদিশার মত মেয়েদের গায়ে হাত দেওয়ার সাহস পায়।। মাঝেমধ্যেই মার খেয়েও চুপচাপ থাকে বিদিশা।। শুধু কথা বলে ওর দুটি নয়ন।।

বিদিশা পুনরায় আবার মার খেয়েছে।। তার অন্যায় শুধু তার স্বামীর মুখ দিয়ে মদের গন্ধ এ কথা বলেছে জন্য। ওমনি তাকে নিষ্ঠুর ভাবে অত্যাচারিত হতে হয়।। অসুস্থ শরীরে বিদিশার ভীষণ কষ্ট হয়েছিল তবুও কেউ তার মনের ভেতরের করুন হৃদয়ের ব্যথা দেখতে পেল না। সেই রাত বিদিশার আর চোখে ঘুম নেই।। মনে মনে ভাবল আমি যখন কোনদিনও ওর কাছে ভালোবাসা পেলাম না। আমিও ওকে ভালোবাসা দেখাবো না।। তার কোন প্রশ্নই আর আসে না ।। সারারাত ধরে সে ভাবছে কি করা যায় ।। যদি আত্মহত্যার পথ খুঁজে নেই,, তাহলে ওই জল্লাদ স্বামীর তো কিছুই হবে না ।। শুধু শুধু নিজের বাবা মায়ের বুক খালি হবে ।। আর মানুষ জনম অনেক সাধনা করে পাওয়া যায়।। তাই আত্মহত্যা সে করবে না। সে তো বসে খায় না।। সে যা রোজগার করে তাতে ভালোভাবেই চলে যাবে ।। তার বাড়িটাও সে নিজে খুব কষ্ট করে করেছে ।। একটা খুঁটিও তার স্বামীর না ।। তাহলে সে এত সহ্য করবে কি জন্য??

অন্যায় সহ্য করাও তো অন্যায় এরই সমান ।। এইসব নোংরা ইতর বদমাশ স্বামীদের আস্কারা দিলে এই বিদিশারা কোনদিন মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারবে না। বিদিশা লিখবে অনেক কিছু করবে ,, তার মত যেন কোন মেয়ে এভাবে পরিস্থিতির শিকার না হয় ।। এসব ভাবতে ভাবতেই এদিকে চোখ দিয়ে জল পরছে আর এদিকে হঠাৎ তার বুকের মধ্যে শক্ত হয়ে নিঃশ্বাস টানতে খুব কষ্ট হচ্ছে। অনেক সময় পর ধীরে ধীরে দম নিয়ে স্বাভাবিক লাগছে বিদিশার। ডাক্তার বলেছে বিদিশার বুকে কিছু প্রবলেম আছে তবুও তার স্বামী সেসব বোঝারই চেষ্টা করে না। ঘরের বউ ওদের কাছে মানুষ না,, পচা আলুর বস্তার সমান। তাকে যখন তখন খেলনা বানানো যায়,, ব্যবহার করা যায়,, ইচ্ছে হলে মারধোর করা যায়।

পরের দিন বিদিশা স্বামীর ভাত রান্না করেনি খেতেও দেয়নি। সে এখন একটাই কথা ভাবছে এত বুঝিয়ে যখন হলো না ,, মারবে তো মারুক,, এমনিতেই মার খাবো ওমনিতেও মার খাবো। ওই ওষুরের গায়ে কত শক্তি আছে দেখা যাক। সে সিদ্ধান্ত নিল ২৫ বছর সংসার করবার পরও তার কোন স্বাধীনতা যখন হলো না,, কোথাও যাবার উপায় নেই, স্বাধীনভাবে বাঁচার উপায় নেই,, এমনকি ঠাকুরের নাম কীর্তনেও যাওয়ার কোন উপায় নেই।। সব কিছুতেই তার স্বামীর সন্দেহ।। এবার থেকে ওই স্বামীর সঙ্গে এক ঘরে থাকবে না ।। তার খাবার রেঁধে খাওয়াবে না ।। দেখা যাক বিদিশাকে আর কি কি সহ্য করতে হয়।।

এর মধ্যে যদি ভুলবশত কোনো কারনে আত্মহত্যা করতে হয় বিদিশাকে, তাহলে সেই স্বামীর জন্যই হয়তো আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে,, বিদিশার উপর মারাত্মক কোনো টর্চার হয়েছিল যে কারণে সে এমন কাজ করতে বাধ্য হল ।। সেই কথা সারা সংসারের কেউ হয়তো জানবে না।

বিদিশা যদি বেঁচে থাকে বিদিশার জীবনীর পরবর্তী অংশ আবার তুলে ধরব আমার লেখার মধ্য দিয়ে।

ততদিন আপনারা সকলে সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।

শুভ ______সন্ধ্যা

——————————————–

আবেগের পালকী
সিরাজুল ইসলাম মুন্টু
তাং ২৯/১১/২০২২খ্রীঃ

অনিন্দিতা তুমি শুনে রাখ
আমি আবেগের পালকী নিয়ে
তোমার মনের উঠানে যাব
তোমার মনের মরা নদীতে
তুলব প্রেমের জোয়ার।

অনিন্দিতা তুমি মনে রেখ
আমি তোমার সুখের কদম তলায়
বসবো মুখো মুখি অপলক দেখব
তোমার মুখ তোমার গলায় দেবো
আমার অনুরাগের মালা।

অনিন্দিতা তুমি জেনে রাখ
তোমার চোখে রাখব আমার চোখ
তোমার অধরের কালো তিল ছুঁয়ে
নিবো সুখের ঘ্রাণ,মনের কথা বলব
প্রকৃতির একান্ত পরিবেশে।

অনিন্দিতা তুমি ভেবে দেখ
মনের নদীতে জোয়ার জাগিয়ে
নিঃসঙ্গ করে চলে যাবে,তাহলে
আমার কষ্ট আমি কোথায় রাখব
কাকে বলব তুমি আমার কে?

Powered by themekiller.com