Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

সময়ের দাবী
মরিয়ম শিল্পী
২৭/০৪/১৯৯৮

মুসলিম! মুসলিম!
এ বর্ণ মুছে ফেল
না হয় ঘুচবেনা তোমার
বিবর্ণ উপোস ভাগ্যলিপি,
চেয়ে দেখ ঐ
ঈষাণ কোণে কালো মেঘের ছায়া।
অস্তিত্বের লড়াইয়ে
হয়ে যাও
পাশ্চাত্য যন্ত্রমানব
নরমাংসাশী প্রলয়ংকারী সভ্যতার
ধ্বজাধারী।
হে দিগ্বিজয়ী বীর তারেক,
যে জীর্নবাকে মুছে ফেলেছ
দু’পায়ে-
উজ্জ্বল আলোকের প্রেমে
অধীর আত্মা,
সেই জীর্ণতাই মুসলিমের বাঁচবার
অঙ্গীকারবদ্ধ জঞ্জাল আজ
কাজেই তুমি আজ দলিত লাশ।
বিলীয়মান অস্তিত্বের সন্ধানে
তুমি হয়ে যাও
পাশ্চাত্যরাগী সাকি
দাবী বটে সময়ের।।

——————————————–

ওরা চারজন
( শেষ পর্ব)

এই রিমি তোর বরের ছবি টবি দেখা না। একলা জীবনে খুব স্বাধীনতা ভোগ করছিস।
আমাদের মতো সাত সকালে
এটা সেটা নিয়ে বরের সঙ্গে
ঝুট ঝামেলা হয়না।
বাদামের লাল আবরণে ফু দিয়ে মুখে বাদাম কটা ফেলে
রিমিকে প্রশ্ন রাখে মেঘলা।

আরে রাখ তো মেঘলা। রিমির
তো নিত্য প্রেম। প্রতিদিন সোয়ামীর সাথে মান অভিমানের খেলা চলে মোবাইলে। প্রবাসে বাস করলে এই এক মজা। প্রতিদিন বাজারের লিষ্ট বরের
হাতে তুলে দিতে হয়না।
কী বলিস রিমি?

নিপুর কথায় রিমি মিষ্টি হাসে।

এই না বললি তোরা। আমাদের
কয়েক ঘন্টার মাঝে সংসারকে
টা-টা। সেইতো আবার পুরানোতেই ফিরে এলি। আসলে কী জানিস। ছোট বেলার স্বপ্নগুলো কখনো জীবনের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। জীবনের প্রয়োজনে কাছে স্বপ্নকে বারবার হার মানতেই হয়। বলতে পারিস এই যে আমরা চারজন বসে আছি। আমাদের
স্বপ্নের তরী কী ঘাটে ভিরেছে?
তুই, আমি, আমরা সকলেই আলাদা আলাদা। দুটি মানুষ
এক হলেও । দুটি মন কখনো
একই রকম ভাবতে পারেনা।
ফাঁক একটা থাকেই।
জীবনের চাহিদার কাছে আমাদের ও কখনো কখনো
হার মানতে হয়। জানিস, আমার মাঝে মাঝে মনে হয়।
একা সুখ হয়। দুঃখ হয়। একা কী কখনো জীবন হয়? একা আমি হই। একা তুমি হও। একা সবাই হয়না। মুখে হাসি
ফুটিয়ে ভিতরের কান্না দমন করে রিমি। অশ্রু চোখ ঝাপসা
করে দেয়। না-না কিছুতেই না।
ঘটে যাওয়া ঘটনা নাই বা প্রকাশিত হলো ওদের কাছে।
নিজেকে তাহলে নিজের কাছেই ছোট করা হবে। কয়েক মাস আগে পাঠানো ডিভোর্সের চুরান্ত নোটিশ এই
ব্যাগেই তো আছে। ব্যাগটা
সজোরে চেপে ধরে রিমি।

——————————————–

চিন্তা
প্রদীপ আচার্য‍্য

চিন্তার গ্রন্থিগুলো ছিন্ন করছি একান্তে,
পটভূমি পাল্টায় প্রতিটি তমসুকের পাতায়!
কখনও কান্নারা এসে জাপটে ধরে গলা,
কখনও খুশিরা উপচে পরে দুচোখের পাতায়!
চিন্তা থেকে জন্মানো রক্তবীজের মতো ••
আরও অসংখ্য চিন্তা ছড়িয়ে পরে মস্তিষ্কের কোঠরে,
অক্টোপাসি বাহুতে হিমশীতল আলিঙ্গন করে।
তবুও শুকনো ডালেও গজিয়ে ওঠে কুঁড়ি,
চিতার আগুন থেকে শোনা যায় নবজাতকের কান্না!
যতই রসাতলে নিতে চাও একেবারে অন্তিম মুহূর্তে,
জন্ম নেবে হাজার হাজার ফিনিক্স পাখি!
ওদের ডানায় ভর করে এগিয়ে যাবো প্রত‍্যয়ের পথে।

——————————————–
কবিতা – অচেনা প্রাচীন
লিখনে – প্রিয় ভট্টাচার্য্য
তারিখ – ২৪/১১/২০২২

*এক সুগভীর চিন্তায় মজ্জন, কে
আমি //
কথা আবাস ভুলে গেছি সব স্মৃতি
মলিন, //
অন্ত সলিলা ফল্গুর মন্থর স্রোত
ধৌত //
এক প্রাচীন আমায় শুধালো
কোত্থেকে এলেন? //
কাল নিদ্রার আচ্ছন্নতা অনুপলব্ধ,
মন হত বিহ্বল ,//
পুন: জিজ্ঞাসিল ‘বাস কোথায় ‘ ?
স্মৃতি আউরে – //
কষ্টে বলি বাংলা ।প্রাচীন বলেন
‘এ হরিদ্বার ,//
কি করে এলেন?’ পিঞ্জর ভাঙা কণ্ঠে
বলি ,জানিনা ।//
* বন্ধুর পথে অজ্ঞান লুণ্ঠিত ধুলায়,
প্রাচীন//
জ্ঞান ফিরিয়ে তোলেন। মলিন বসন
কাধে খোলা ব্যাগ, //
বৃক্ষ ভরা বনানী শীতল জলস্রোত
পাশে বয় , //
আমায় দাঁড় করিয়ে ,’আসুন
বাঙালি বাবু ‘।//
সাধুদের আখড়ায় যজ্ঞের আগুন
প্রজ্জ্বলিত //
অসংখ্য ভক্তের সমাগম,সুরভিত
গন্ধে মত্ত –//
মনে পড়লো একাকীত্বের যন্ত্রনা
ভুলতে পথে , //
বিবশ শরীর অশান্ত মন ,
ঘৃণা, বিদ্বেষ জীবন্ত ।//

প্রাজ্ঞ প্রাচীন হতে ধরে নিয়ে গেলেন
নিজ গৃহে //
স্নান সেরে নব্য বসনে ,প্রাচীন
বসালেন ঘরে ,//
এক রমনী এক গ্লাস গরম
দুধ দিলেন //
খেয়ে মন প্রসন্ন ,প্রাচীন ‘একটু
ঘুমিয়ে নিন ‘।//
একটু রাতে শয্যা পরে দিলেন খেতে
বস্ত্র পেতে , //
আহার সমাপন চোখ জুড়ে ঘুম
এলো নেমে । //
ভোরে সংবেদী মনে , প্রাজ্ঞকে বলি,
পড়েছে মনে //
বাড়ি যাবো।হাসলেন প্রাচীন
দুপুরে খেয়ে যান , //
বিকেলে নিজে টিকিট কেটে
গাড়িতে বসান , //
এত ভালো লোক আছে মর্ত্যে,
তবে কেন পথে পথে ।,//

——————————————–

_____ কল্পনাতেই না হয় সুখী হলাম _____
লেখকঃ আরাফাত ইসলাম শাওন (দিব্য)
২৪/১১/২২

এখন কল্পনাতেই সুখ খুঁজি
তাই তো এখন সুখী,
যখন করেছিলাম বাস্তবতায় সুখের খোঁজ
পরাজিত হয়েছিলাম রোজ৷

কল্পনাতেই জীবন করেছি সুন্দর
বাস্তবে তো জীবন দুঃখের-ই সাগর,
বাস্তবতা করেছে আমায় অনেক হেস্তনেস্ত
তাই তো এখন আমি কল্পনাতেই ব্যস্ত৷

এখন কল্পনা করতে জানি
কল্পনা করেই ভুলে রয় বাস্তবতার হয়রানি৷

কল্পনাকেই ভালোবাসি এখন
বাস্তবতাই আর নেই কোন আকর্ষণ,
বাস্তবতাই দুঃখ যদিও মেনে নিলাম
কল্পনাতেই না হয় সুখী হলাম৷

——————————————–

কবিতা আমার প্রাণ
“লেখিকা – সীমা সরকার”

কবিতা তুমি আমার কুড়িয়ে পাওয়া
ছন্দের কারিশমা! হাজারো দর্শকদের ভালোবাসার অনুপ্রেরণার উপমা।
কবিতা তুমি আমার দূর্দিনের, ভেঙে পড়া জীবনের গল্প সূর্যের আলো ছায়া,বেঁচে থাকার একমাত্র চেষ্টা আর ভরসা।

কবিতা হাজারো বাঁধার শেকল ভেঙে আঁকড়ে রেখেছি
তোমায়৷ ধরে আমার শব্দ ভান্ডারে।
পারিনা তোমায় ছাড়তে, হাজারো কষ্টের পরে।জীবনের
সকল সূচনায় তুমি আছো আত্মা জুড়ে।

যেদিন আমি কূলকিনারা হারিয়েছি, বাঁচার আকুতি
জীবন থেকে সরিয়ে নিয়েছি,সেদিন তুমি নতুন ভাবে
বাঁচতে শিখিয়েছো, কলম ধরে, ছন্দ বর্ণ চিহ্নিত করেছো,

কেমন করে কবিতা তোমায় করবো আমি পর
জীবন থেকে কষ্ট সরিয়ে, জয় করেছো মন,তাইতো তব
হাজার যুদ্ধের পরেও আমি তোমার, আমার সকল দুঃখ গুলো সঙ্গী করেছো তোমার। তাইতো তুমি একান্তই নিজস্ব আমার।

Powered by themekiller.com